আশফাক আহমদ:
আজ আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার দিবস। বিচার করে বিশ্বজুড়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই থেকে। যে দেশে বা যেখানেই অপরাধ হোক না কেন মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায়, বিচার প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিতে পারে এই ধারনা কে প্রতিষ্ঠা করতে নানান কর্মসূচি পালিত হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্ব সহকারে এই দিবসটি পালন করে থাকে।
মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোকে বিচার প্রক্রিয়ায় সম্মুখীন করতে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত। ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের এই আদালত। আর তাই এই দিনকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাই প্রতিবছর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো এই দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে আসছে। অনেকেই হয়তো এই দিবস সম্পর্কে তেমন জানে না গণহত্যা কিংবা যুদ্ধাপরাধের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রতিটি দেশের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পথ করে দেওয়া এই আদালতের কাজ।
ন্যায় বিচার নিয়ে কয়েকটি বাছাইকৃত কয়েকটি উক্তি:
✓অন্যদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং সেই রকম মানুষ হয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন যাদের ভুল গুলো থেকে অন্যেরা শিক্ষা গ্রহণ করে।”(শাইখ ইয়াসির ক্বাদি)।
✓বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন- “যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, সে একজন যদিও হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো”।
✓পক্ষপাতহীন বিচারক রায় ন্যায়বিচার করতে পারে- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
****ন্যায় বিচার সম্পর্কে আল্লাহ বলেন- আর যখন তোমরা মানুষের কোনো বিচার মীমাংসা করতে আরম্ভ করো তখন ইনসাফের সাথে বিচার মীমাংসা করো। (সূরা নিসা-৫৮)।
পৃথিবীর সবাই যদি যার যার ধর্ম নিখুঁত ভাবে পালন করত তাহলে পৃথিবীতে শান্তিতে ভরে উঠতো আমি মনে করি পৃথিবীর কোন ধর্মই অবিচার কে সমর্থন করে না। যাই হোক সময়ের তাগিদে এরকম অনেক দিবস আর উক্তি উঠে আসবে। কিন্তু সময়ের সাথে যারা আছে যাদের জন্য পূর্ববর্তী লড়াই করে এসব প্রতিষ্ঠা করেছেন, এখনো কি তা টিকে রয়েছে। মনের মধ্যে কয়েকটি প্রশ্ন জাগে?
•এই উদ্দেশ্য কি আসলেই কি তারা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে?
•আর পারলে কি আমরা তা আঁকড়ে ধরে রাখতে পেরেছি?
• পৃথিবীর মধ্যে কোথাও কি আর কোন হত্যা সংগঠিত হচ্ছে না?
•মানবতাবিরোধী অপরাধের আসল অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে কি?
•পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংগঠিত অপরাধের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার পথ করে দিয়েছে কি?
এসব কি এর উত্তর খুঁজতে আপনি যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিডিয়া চোখ রাখবেন তখন আপনি অনেক কিছুই জানবেন। দেখবেন দুস্কৃতিকারীরা, মানবতাবিরোধী অপরাধীরা,গণহত্যাকারী সবাই দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে আর ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারিরা লাঞ্চিত হচ্ছে। দিবসটির স্বার্থকতা তখনই হবে যখন পৃথিবীতে সকলের জন্য সমানভাবে অাইন প্রযোজ্য হবে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। “আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার দিবস সফল হোক”।
#ভয়েসঅবসিলেট/এমএইচ