সাকিল আহমেদ:
জীবিনাবাসন হয়েছে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।বেশকিছু দিন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা এই সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্টের জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। তাকে নিয়ে আমাদের রাজনিতীতে আলোচনা সমালোচনার কোন শেষ ছিল না। তাকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন আর সমালোচনার অন্যতম ছিল তার সম্পত্তি বন্টনের প্রশ্নটি।সাবেক রাস্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সম্পত্তির পরিমান সম্পর্কে স্পষ্ট কোন তথ্য নেই কারো কাছে।
পাঁচ সদ্যসের একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে এরশাদ তার সম্পত্তি সেখানে লিখে দিয়েছেন।এই ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছে তার ছোট ছেলে এরিক,একান্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ,চাচতো ভাই মুকুল,তার ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
ঢাকার ৩ ফ্লাট, ব্যাংকের টাকা এবং হাসপাতালসহ নিজ নামের স্থাবর অস্থাবর সম্পতিকে ট্রাস্টের আওতায় নিয়ে এসেছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।এসব সকল সম্পতির একমাত্র ভোগ দখলকারী করে যান সন্তান এরিককে।তবে এরিক শুধু সম্পদ ভোগ করতে পারবেন, কিন্তু বিক্রি করতে পারবেন না এক কানাকড়িও।এমনকি এরিকের কোন উত্তরাধিকারী না থাকলে পু্রো সম্পতি চলে যাবে সরকারের দখলে।
রাজধানীর দূতাবাস রোডে প্রসিডেন্ট পার্ক,এইখানে রয়েছে এরশাদের ৪ টি ইউনিট,যার মধ্যে বিক্রি করে দেন দুটি।বাকি দুটিতে সন্তান এরিককে নিয়ে বসবাস করতেন এরশাদ।এছাড়া বনানী ও গুলশানে আরো দুটি ফ্লাট রয়েছে এরশাদের।তাছাড়া ব্যাংকে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট।
রংপুরে রয়েছে তার পুরনো বাড়ি “পল্লি নিবাস”,পুরনো বাড়ি ভেংগে এখানে তৈরি হচ্ছে অত্যাধনিক ভবন। মিঠাপুকুরে বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে “পল্লি বন্ধু কোল্ড স্টোরেজ” যেখানে একসাথে প্রায় দেড়লক্ষ বস্তা আলু মজুদ করা যায়।এটিই হচ্ছে এরশাদের নগদ আয়ের একমাত্র উৎস।পিতা মকবুল হোসেনের নামে রংপুরে রয়েছে “মজবুল হোসেন জেনারেল এন্ড ডায়বেটিক হাসপাতাল”।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর আগে এসব সকল সম্পত্তিকে একটি ট্রাস্টের আওয়াতায় আনা হয় এবং একমাত্র ভোগদখলকারী করে যান সন্তান এরিককে।তবে ট্রাস্টের শর্তমতে এসব সম্পদের পুরো বেনিফিন শুধু এরিক পাবে, অন্যকারো নামে দিয়ে দেওয়া বা বিক্রি করতে পারবে না।যদি এরিক এর সন্তান না থাকে বা এরিক মারা যায় তাহলে পুরো সম্পত্তি চলে যাবে সরকারী কোষাগারে।
এর বাইরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় এবং রংপুরের কার্যালয় লিখে দিয়ে যান দলের নামে।স্ত্রী রওশন এরশাদ,ভাই জি এম কাদের, অন্যান আত্ময়ী ও পালিত সন্তানদের ফ্লাট বাড়ি এবং জমি কিনে দিয়েছিলেন অনেক আগেই।
তবে এসকল সম্পত্তি বন্টনে বাহিরে রয়ে গেছে ভারতের কুচবিহারে ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে থাকা পৈত্রিক সম্পত্তি।