ইসমাইল হোসাইন:
টিলার উপর স্তম্ভ। সে স্তম্ভেই অাড়াঅাড়ি করে টেনে দেওয়া হয়েছে লাল রঙের রেখা। তার পাশ ঘেঁষে অাছে লাল বৃত্ত। স্তম্ভটির পাশেই তর্জনী উঁচু করে বক্তব্য দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু, ঠিক তাঁরই পাশে প্রতিবাদী দুই বীরের গর্জনের প্রতিকৃতি। যেন নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে লড়াইয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দুই বীর। বলছিলাম শহীদদের অাত্নত্যাগের স্মরণে নির্মিত বাশতলা হকনগর শহিদ স্মৃতিসৌধের কথা। স্মৃতিসৌধটির অবস্থান সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজারের বাশতলায়।
দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ থেকে চোখ সরালে মেঘালয়ের মেঘের হাতছানি। মনোরম সৌন্দর্যের এ স্মৃতিসৌধ দেখতে দেখতে প্রতিদিন এখানে ভীড় করেন হাজারো দর্শনার্থী।
স্মৃতিসৌধটির পাশ ঘেঁঘে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ১৩জন শহীদের সমাধি। গোল ঘর নামে একটি ঘর রয়েছে যা দর্শনার্থীর বিশ্রামকক্ষের কাজ দেয়। এছাড়াও রয়েছে রাবার্টড্রাম যা প্রকৃতি অন্বেষীদের বিভূষিত করে। রয়েছে জুমগাঁও,যেখানে গারোদের আবাস্থল। তাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। নিম্নমান তাদের জীবনযাত্রা। নিজস্ব ভাষা ছাড়াও তারা বাংলায় ভাষায় কথা বলতে পারে। তারা শূকর অধিকমাত্রায় লালনপালন করে। পুরুষের তুলনায় তাদের নারীদের কঠোর পরিশ্রম করতে দেখা যায়।পাহাড়চূড়ায় গারোদের বসবাস। এক অতুলনীয় প্রকৃতি মহান প্রভুর দান।