ভয়েস অব সিলেট ডেস্ক:
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করা রোহিঙ্গা সংকটের আশু ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মিয়ানমারকে রাজি করাতে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়নের প্রতি এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ও কোরিয়ার পক্ষে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়ন নেতৃত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর কারণে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করব রোহিঙ্গা সংকটের একটি আশু ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।’ জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব, আমরা তা করব।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া সব বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রেস সচিব বলেন, ৪০ মিনিট স্থায়ী এ বৈঠকে আলোচনায় প্রধানত ব্যবসা–বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতার বিষয় উঠে আসে।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মানবিক সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে আমাদের দ্বিপক্ষীয় প্রচেষ্টার সম্পূরক হিসেবে অব্যাহত আন্তর্জাতিক চাপ ও সম্পৃক্ততা দরকার।’ শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা যাচ্ছে না। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের ভূমি ও সম্পত্তিতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে উৎসাহিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের নভেম্বরে ইউএনজিএতে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণে সমর্থন দেওয়ার জন্য কোরীয় প্রজাতন্ত্রের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।