জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম)।
রবিবার (১৪ জুলাই) সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো পৃথক দুটি শোক বার্তায় তারা শোক প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি থাকার সময় এইচএম এরশাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণাসহ ধর্মীয় বিষয়ে গঠনমূলক ভূমিকার কথা স্মরণ করেন হেফাজত আমির। সেসঙ্গে সদ্য প্রয়াত এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান আল্লামা শফী।
এরশাদ জীবিত থাকা অবস্থায় আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দোয়া ও শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে বেশ কয়েকবার ওই মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন।
অপর এক শোক বার্তায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সেনানায়ক থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হন। রাষ্ট্র ক্ষমতা ছাড়ার পর তিনি শুধু রাজনীতিই করেননি; জনগণের সমর্থন নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরশাদ এক অপরিহার্য নাম।
বঙ্গবীর মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
গত কয়েকদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এইচএম এরশাদ। রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। রবিবার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। প্রায় ৮ মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি।
গত ২৬ জুন এরশাদের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটে। ওই দিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এর আগে ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। সংসদ ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও নির্বাচনি ক্যাম্পেইনে যোগ দেননি। এমনকি নিজের ভোটও দিতে যেতে পারেননি সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। এরপর ২০ জানুয়ারি আবারও সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসা নিতে। সেখান থেকে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। তবে তখনো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। সংসদ অধিবেশনে মাত্র একদিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন তাও হুইল চেয়ারে ভর করেই।