আশফাক আহমদ:সিলেটের অন্যতম ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান কৈলাশটিলা। এটি নিয়ে অনেক অলৌকিক কল্পকাহিনী রয়েছে। তাই বর্তমান এই আধুনিক যুগের অনেকেই জানতে আগ্রহী আসল রহস্য কী? সঠিক ইতিহাস হচ্ছে -জালাল ইয়েমেনী (রহ:)- ৩৬০ আওলিয়ার , অন্যতম সফর সংগী হযরত শাহ নূর (রহ.) এখানে আস্তানা গাড়েন। ইবাদতের জন্য কৈলাশটিলার উপরে একটি গুহা নির্মাণ করেন যা আজও বিদ্যমান।
প্রায় ৪০০ ফুট উঁচু টিলার উপরে ঈদগাহ্ অবস্থিত যেখানে স্থানীয় লোকজন ঈদের নামাজ পড়েন। কৈলাশটিলা বাংলাদেশের একমাত্র খনিজ তেলক্ষেত্র হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। কৈলাশটিলা একইসাথে খনিজতেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র।
পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি ১৯৬২ সালে এটি আবিষ্কার করে। এটি বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র। এখানে প্রমাণিত ও সম্ভাব্য গ্যাস মজুত ৩.৬৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য মজুত ২.৫২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসের সঙ্গে এখানে প্রচুর পরিমাণে কনডেনসেটও পাওয়া যায়। ১৯৮৩ সাল থেকে এখনো এই ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। অবাণিজ্যিকভাবে এই ক্ষেত্রের গভীরে খনিজ তেলও পাওয়া যায়।