বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যতিক্রমী প্রচারণা শুরু হয়েছে ব্রিটেনে।
প্রচারণার অংশ হিসেবে বুধবার কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের প্রাক্কালে লন্ডনের মার্লবোরো হাউজে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রচারণার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বৃটিশ লেবার পার্টির এমপি খালিদ মাহমুদ, লিবারেল ডেমোক্রেট দলের ফিল বেনিয়ন, কনজারভেটিভ দলের অ্যান্থিয়া ম্যাকইন্টায়ার, ক্রসবেঞ্চার লর্ড কার্লাইল ও লিবারেল পার্টি অব অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সমপাদক ব্রুস এডওয়ার্ডস।
সভায় মূল উদ্যেক্তারা ছাড়াও বৃটেনের এমপিরা এবং বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদরা অংশ নেন।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিতেই এই প্রচারণা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী লর্ড কার্লাইল এতে অংশ নিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ মামুলি। যারা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সমপর্কে জানেন তারা বুঝবেন যে, এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। তাই, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া উচিৎ।
তিনি আরো বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ক্যামেপইন পরিচালনা করছি যাতে বৃটেন, ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো জানতে পারে কত বড় অবিচার চলছে।
তিনি দাবি করেন, খালেদা জিয়াকে কোনো তথ্যপ্রমান ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে। তাই, তার মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিতে কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান কার্লাইল।
এ সময় বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাখতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন লর্ড কার্লাইল।
তিনি বলেন, এটি সমগ্র বাংলাদেশে বড় মাপের জনঅসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে। তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ সঠিক কাজটি করা এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া।