ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে রমজানের শিক্ষাকে আমাদের গ্রহন করতে হবেঃ আব্দুল্লাহ আল-ফারুক
কুরআন পড়ুন, কুরআন বুঝুন, আল-কুরআনের সমাজ গড়ুন এই স্লোগানকে সামনে রেখে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখা।
শনিবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বর্ণাঢ্য র্যালিটি হাউজিং এস্টেট পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। নগর সেক্রেটারি সিদ্দিক আহমদের সঞ্চালনায় র্যালি পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি আবদুল্লাহ আল-ফারুক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল-ফারুক ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে নগরবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস, রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস, সংযমের মাস। আজকে ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে রমজান যেই শিক্ষা নিয়ে এসেছে সেই শিক্ষাকে আমাদের গ্রহন করতে হবে। এই শিক্ষাকে গ্রহন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমেই কেবল সমগ্র বিশ্ব তথা বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। রমজানের রোজা ধনীর মনে গবিবের ক্ষুধার জ্বালা যেমন অনুভব করায়-তেমনি আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে মানবতার খেদমতের শিক্ষা দেয়। এমাসে আল্লাহর প্রিয় বান্দার তালিকায় নিজের অবস্থান তৈরির জন্য সবাইকে যত বেশি সম্ভব কুরআন অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি কুরআনের আলোকে সমাজ প্রতিষ্ঠায় মনের সকল কুপ্রবৃত্তি দূর করে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি সোনালী সমাজ গঠনে সাধ্যমত সবাইকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আবদুল্লাহ আল-ফারুক আরো বলেন,মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় যাবতীয় বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকারের অবহেলা ও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তির অপকর্মে পবিত্র রমজান মাসে মানুষকে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ইতোমধ্যেই নিত্য পণ্যসামগ্রীর দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। যা সবাইকে বিশেষ করে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনকে আরও সংকটে ফেলে দিয়েছে। ফলে প্রতি বছরই এই মুসলিম-প্রধান দেশে মাহে রমজানে মধ্যবিত্ত ও হত দরিদ্র মানুষের করুণ চিত্র দেখতে হয়। মাহে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন প্রেমিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতার উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। মুসলিম উম্মাহর সংকট উত্তরণে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বপরি এ মাসকে কোরআন শিক্ষায় কাজে লাগাতে হবে। কোরআনের শিক্ষা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে তৎপর হতে হবে। সমাজ ও দেশে সুখ আনতে কোরআনের আদর্শের বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। কোরআনের সমাজ গঠনের লক্ষে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে যেতে হবে।
উক্ত বর্ণাঢ্য র্যালিতে মহানগর শিবিরের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।