নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে ‘সহজ লিমিটেড’ এর জয়েন্ট ভেঞ্চার। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে গিয়ে সাময়িক বন্ধ হয়ে পড়েছে রেলের অনলাইন ও কম্পিউটার টিকিট বিক্রি। ২৫ মার্চ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। অনলাইন ও কম্পিউটার টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় ঢাকার কমলাপুরসহ দেশের ৭৭টি স্টেশনে টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। তৈরি হচ্ছে টিকিটপ্রত্যাশীর দীর্ঘলাইন। কোথাও কোথাও একটি টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যদিও ‘সার্ভিস প্রোভাইডার’ পরিবর্তনের কারণে টিকিট বিক্রিতে এ সমস্যার কথা আগেই জানিয়ে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সহজের জয়েন্ট ভেঞ্চার একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া পেরিয়ে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনার কাজটি পেয়েছে।পরিকল্পিতভাবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নিলে যাত্রীদের এভাবে দুর্ভোগে পড়তে হতো না।
বর্তমানে দেশের ৭৭টি স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার টিকিট ইস্যু করা হয়। ইস্যুকৃত টিকিটের অর্ধেক দেয়া হয় কাউন্টার থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে। বাকি অর্ধেক টিকিট ইস্যু করা হয় সেলফোন অ্যাপ ও অনলাইনের মাধ্যমে। সোমবার থেকে কাউন্টারে কম্পিউটার টিকিট ও সেলফোন অ্যাপ এবং অনলাইন টিকিট পুরোপুরি বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যাত্রীদের টিকিট দেয়া হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। প্রিন্ট করা কাগজের টিকিটে আসন ও বগি নম্বর লিখে স্বাক্ষর দিয়ে তারপর যাত্রীকে সেটি সরবরাহ করছেন কাউন্টারের কর্মীরা। এ প্রক্রিয়ায় একটি টিকিট ইস্যু করতে সময় লাগছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
রেলওয়ের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম অনেক ধীরগতিতে চলছে। যাত্রার ৫ দিন আগে থেকে শুরু হতো অনলাইন ও কম্পিউটার টিকিট ইস্যু। কিন্তু ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মাত্র একদিন আগের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে। বিষয়টি না জানায় অগ্রিম টিকিট কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন অনেক যাত্রী। এ সময় রেলওয়ে বিষয়টি নিয়ে আরো প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারত বলে মত দেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা