মঙ্গলবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল।
সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, ভর্তি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা থাকায় তাকে ভর্তি কমিটি আটক করে। আটককৃত শিক্ষার্থীই মূল রেজিষ্ট্রেশনকারী। তবে তার হয়ে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায় নি বলেও জানান তিনি। রিপোর্ট লেখার পূর্ব পর্যন্ত প্রক্টর অফিসে আটককৃত শিক্ষার্থীর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, ইকবাল হোসেন সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী ভাইভা দিতে এসেছেন। এসময় সে যে স্বাক্ষর দিয়েছে তা ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর শিট ও উপস্থিতি শিটের সাথে সম্পূর্ণ পৃথক থাকায় সন্দেহজনকভাবে তাকে আটক করে ভর্তি কমিটি। পরে আটককৃত ঐ শিক্ষার্থী ভর্তি জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে। প্রাথমিক সত্যতা থাকায় ভর্তি কমিটি আটককৃত ঐ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টোরিয়াল বডির নিকট হস্তান্তর করেন।
ভর্তি জালিয়াতির বিষয়ে আটককৃত শিক্ষার্থীর স্বীকারোক্তি বর্ণনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, সে স্বীকার করেছে যে সেই মূল পরিক্ষার্থী। তার হয়ে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, সে পরীক্ষায় অংশ নেয় নি। এ কাজে তাকে দুইজন সহযোগিতা করেছে। তবে কে বা কারা তাকে সহযোগিতা করেছে তা স্বীকার করে নি।
উল্লেখ্য, আটককৃত শিক্ষার্থীর বাসা চট্রগ্রামের চকোরিয়া থানায়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটের আওতায় চট্রগ্রাম ভেটেনারি এন্ড এনিমেল স্যায়েন্স ইউনিভার্সিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে তার হয়ে অন্য কেউ পরীক্ষা দিয়েছিল।