নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কোরবানির ঈদে পশুর চামড়ার নজিরবিহীন দরপতনে সিলেটের রাস্তায় আট শতাধিক চামড়া ফেলে প্রতিবাদ হয়েছে। সোমবার রাত ১২টার সময় নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে এই প্রতিবাদী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল আযহায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৮২৬টি পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছিল খাসদবির দারুস সালাম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দিনশেষে এর ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার প্রতিবাদ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এই চামড়া বিক্রির অর্থ মাদ্রাসার খরচ সঙ্কুলানের একটা অন্যতম উৎস ছিল
সিলেটের চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস চামড়ার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার বেশি দিতে রাজি হননি। এমনকি অনেক ব্যবসায়ী বাকিতে চামড়া কিনতেও রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রাস্তায় চামড়া ফেলে প্রতিবাদ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাসদবির দারুস সালাম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ।তিনি জানান, সংগৃহীত চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সেগুলো রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদ করে। এই চামড়া বিক্রির অর্থ মাদ্রাসার খরচ সঙ্কুলানের একটা অন্যতম উৎস ছিল বলে জানান তিনি।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বিষয়টি জানালে মেয়র স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করলেও তারা চামড়া নিতে রাজি হননি, বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কথা বলতে শাহজালাল বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এরআগে রোববার সিলেটটুডেকে তিনি বলেছিলেন, ‘চামড়া ব্যবসা এখন আর নেই বললেই চলে। বর্তমানে এই শিল্পটি ধ্বংসের পথে। এর জন্য দায়ী ঢাকার ট্যানারি মালিকেরা। তারা সিন্ডিকেট করে ব্যবসা পরিচালনা করার কারণেই এই ব্যবসায় ধস নেমেছে। এমনকি দীর্ঘদিন থেকে চামড়া বিক্রির টাকাও পাওনা রয়েছে। এই ব্যবসা করে অনেকেই পুঁজি হারিয়ে কোনোভাবে জীবন-যাপন করছেন। পাওনা টাকার জন্য ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে একাধিকবার বসলে টাকা দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়, কিন্তু টাকা আর পরে মেলে না।’