জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ
সিলেটের জৈন্তাপুরে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট, প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে জৈন্তাপুরের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট। জৈন্তাপুর, দরবস্ত, হরিপুরের হাটে একই চিত্র।
সরোজমিন দরবস্ত বাজারের পশুর হাটে গেলে দেখা যায় সকাল থেকেই পছন্দের পশু কিনতে হাটে ক্রেতা সমাগম ঘটতে থাকে। একদিকে চলছে ক্রেতাদের পশু দেখা ও দামাদামি। অন্যদিকে জৈন্তাপুরের বাইরে থেকে বিক্রেতারা হাটে ঢুকছে ব্রাক ভর্তি গরু নিয়ে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা দাম ছাড়তে চাইছেন না। বিক্রেতারা বলেন, ‘লোকজন আসে, দেখে। দামে হয় না। তাই বেচি না। এক বছর পালছি, গরু খাবারের দাম বেশি। অনেক খরচ। কম দামে হয় না।’
ফতেহপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রাম থেকে কোরবানির পশু কিনতে দরবস্ত এসেছেন মো. আনা মিয়া। কোরবানির গরু পছন্দ করে কিনতে দাদার সাথে বাজারে এসেছে ১০ বছরের শাহরিয়ার আলম। আনা মিয়া বলেন, ‘বিক্রেতারা দাম বেশি বলছে। সাধারণত যে দাম হওয়া উচিত তার চাইতেও অনেক বেশি। যে গরুর দাম গত বাজার ৭০ হাজার ছিলো তা এক লাখেরও বেশি চাচ্ছে বিক্রেতারা। এখনো গরু আসছে। দেখতে এসেছি। পুরোপুরি গরু না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে দেখা গেছে অধিকাংশই ভারতীয় জাতের গরু। তবে ব্যতিক্রমও আছেন। কিছু বিক্রেতা বছর খানেক আগে স্থানীয় বাজার থেকে গরু কিনে তা লালনপালন করে বাজারে এনেছেন বিক্রির জন্য। মূলত প্রতি বছর ঈদের পর নতুন গরু কেনেন এসব পশু ব্যবসায়ীরা। এক বছর লালনপালন শেষে দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৫/১০টি গরু নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। তারা জানালেন, দেশি জাতের লালচে রঙের গরুরই চাহিদা একটু বেশি।
দরবস্ত বাজারের এক ইজাদার জানান, ‘বাজারের পক্ষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাটে এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ক্রেতাদের চাহিদার মধ্যে খামারে বা বাড়িতে পোষা গরুই প্রাধান্য পাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পশু আমদানির ওপর দাম নির্ভর করলেও এ বছর সব ধরনের পশুর দাম তুলনামূলক একটু বেশি হবে বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে।