সিলেট প্রতিনিধি:সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০ টি অবৈধ পশুর হাট বসানো হয়েছে। নানা হম্বিতম্বি, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের হুশিয়ারি সত্ত্বেও ঠেকানো যায়নি এসব অবৈধ পশুর হাট। সবগুলোর অবৈধ হাটের পেছনে সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো জেলা ২২টি হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়। অবৈধ হাট বসাতে নিষেধও করে জেলা প্রশাসন। তবে তা না মেনে বসানো হয়েছে অবৈধ হাট।
জানা যায়, সিলেট নগরীতে বৈধ হাট রয়েছে ১২টি। এগুলো হচ্ছে – কোতোয়ালি মডেল থানার কাজির বাজার পশুর হাট, জালালাবাদ থানার শিবের বাজার পশুর হাট, কুড়িরগাঁও (ইসলামগঞ্জ বাজার) পশুরহাট, বিমানবন্দর থানার সাহেব বাজার সুন্নিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার মাঠে স্থাপিত পশুর হাট, দক্ষিণ সুরমা থানার লালাবাজার পশুর হাট, কামালবাজার পশুর হাট, মোগলাবাজার থানার জালালপুর পশুর হাট, হাজীগঞ্জ বাজার ও রাখালগঞ্জ বাজার পশুর হাট এবং শাহপরান থানা এলাকায় আরও তিনটি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে।
এর বাইরে নগরী ও নগরীর আশপাশে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক অবৈধ পশুর হাট। নগরীর আম্বরখানা , টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ , উপশহর, চৌকিদেখি, আখালিয়া, মেন্দিবাগ (জালালাবাদ গ্যাস অফিসের পেছনে), তেররতন, দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল, কদমতলী (ফল মার্কেটের সামনে), লাক্কাতুরা, মাদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, হাউজিং এস্টেট (দর্শন দেউড়ি), কুমারগাঁও, শাহী ঈদগাহ, রিকাবীবাজার ।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো হয়েছে। অবৈধ পশুর হাট উচ্ছেদে নেই প্রশাসনের কোনো তৎপরতা।
সিলেট প্রবেশদ্বার হুমায়ূন রশীদ চত্বরে গড়ে উঠেছে অবৈধ পশু হাট ।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে সিলেটে গরু নিয়ে আসেন বেপারীরা। গরুবাহী ট্রাক এই সড়ক দিয়ে প্রবেশ করার পরপরই মোটরসাইকেল দিয়ে ট্রাককে ঘিরে ধরে অথবা লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক হুমকি-ধামকি দিয়ে প্রবেশ করানো হয় এই হাটে ।