নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবে মারা যাওয়া জজ মিয়ার (২২) লাশ নিতে শুক্রবার বিকেলে তার সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন বাবা আলী আহম্মদ। সেই ছেলের লাশ বিমানবন্দর থেকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরেছেন বাবা আলী আহমদ (৬০)।
আলী আহমদ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া এলাকার মৃত সারা মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। এ সময় কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি রাস্তা থেকে প্রায় ২০ ফুট নিচের খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিতা-পুত্রের লাশ উদ্ধার করেছে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, প্রায় এক মাস পূর্বে সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় জজ মিয়া (২২) নামের ওই যুবক মারা গেলে শুক্রবার বিকেলে তার মরদেহের কফিন সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখানে ছেলের কফিনটি গ্রহণ করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন আলী আহমদ। অ্যাম্বুলেন্সটি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান হঠাৎ রং সাইডে চলে আসে।
তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স চালক মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে গেলে অ্যাম্বুলেন্সটি রাস্তার পার্শ্ববর্তী প্রায় ২০ ফুট নিচের একটি খাদে পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলের কফিনসহ বাবার মরদেহটি উদ্ধার করে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর পরিবারের লোকজন ছেলের মরদেহের কফিনটি বাড়িতে নিয়ে গেছেন। নিহত বাবা আলী আহমদের মরদেহ শেরপুর হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। সেখানে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে।