ইনতিসার:আমি একটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।জরুরী কাজে বিগত ২৯ শে জুলাই এক সপ্তাহের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে সিলেট ফিরে আসি এবং মারাত্মক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হই।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে ২৭ নং (বিশেষায়িত ডেংগু) ওয়ার্ডে ভর্তি হই।যেহেতু বিশেষায়িত ওয়ার্ড তাই আশা করেছিলাম সব কিছু অন্য ওয়ার্ড থেকে আলাদা থাকবে কিন্তু না!
নার্স,ওয়ার্ডবয়,ক্লিনারদের (দুইয়েক জন ব্যতীত) আচরণে মনে হয় হাসপাতাল তাদের বাপ-দাদাদের সম্পত্তি।
ওয়ার্ডবয়দের কাজ প্রতিদিন একবার বিছানা পরিস্কার করা(বেড-শীট) চেঞ্জ করে দেওয়া।অথচ একজন রোগী ভর্তি হওয়ার পর বেড-শীট চেঞ্জ করা হয়। ওয়ার্ডবয় প্রতিদিন এসে নির্দেশ দিয়ে যান সবাই বেড পরিস্কার করেন।
আর ক্লীনার! উনাদের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ। আমি একবার বললাম,”ভাই টয়লেট কি পরিস্কার করেন না? এই টয়লেটে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে। আর আমরা তো এমনিতেই অসুস্থ মানুষ। ”
বেচারা প্রতুত্তরে বলল,”টয়লেটে শোয়ার জন্য যান নাকি যে পরিস্কার করতে হবে। ”
২৭ নং (ডেঙ্গু ) ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা প্রায় অর্ধশত অথচ টয়লেট সংখ্যা চারটি এর মধ্যে দুইটি পার্মানেন্ট বন্ধ।একজন টয়লেটে থাকলে বাহিরে অপেক্ষারত থাকে তিন থেকে চার জন।
কত যুগ ধরে যে এই টয়লেটগুলো অপরিস্কার আল্লাহ মা’লুম।বিদুঘটে দুর্গন্ধের ভয়াবহতায় একদিন রাতে টয়লেটের বাহিরে আমার সেন্সলেস হয়ে যায়।
আর অনেক বিষয় আছে লিখাটি দীর্ঘ হয়ে যাবে বলে আর লিখছি না।
প্রতিদিন অনেক ভি আই পি পার্সন ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান কিন্তু উনাদের চোখে এসব বিষয় ধরা পড়ে না।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর নিকট আমার এই লেখা কোনভাবে চোখে পড়লে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বিশেষ করে টয়লেটের বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।