স্কুল বন্ধু
–শেখ রেদওয়ান হোসাইন
সেইতো ক’দিন আগেই পিছনের বেঞ্চ নিয়ে টানাটানি ছিলো-
পিছনের বেঞ্চে বসে সাদা শার্টে দাগ কাটা।
এসেম্বলিতে জাতীয় সঙ্গীতে ঠোঁট নাড়ানো।
ক্লাস ফাঁকির উপায় খুজা কোনো ফাইনাল ম্যাচের নীল নকশার মতো।
সেইতো ক’দিন আগেই প্রিয় বন্ধুটার গলায় ঝাপিয়ে পড়া হতো-
রোদ্দুর স্কুল আঙিনায় ছিলো আমাদের মেলা।
বৃষ্টিময় বারান্দায় থেকে মটর মুখে নিয়ে কুট কুট শব্দ।
অথবা মটর হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে সেটা ফের মুখে নেওয়া অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের উচ্ছ্বাস।
সেইতো ক’দিন আগেই স্যারদের রসিক নামে ডাকা হতো-
পড়া লিখেছি তবে খাতা বাড়িতে রেখে দেওয়ার অজুহাত।
ক্লাস টেস্টে প্রিয় বন্ধুকে মূহুর্তেই ভুলে গিয়ে ভালো ছাত্রটির কাছে কাসে বসা।
আর টেস্ট শেষে কাগজটা মুট করে জানালার বাইরে ছুড়ে দেওয়ার স্বভাব।
কতো একসাথে উঠা বসা-
কতো সুখ-দুঃখের সাথী তোরা
কতো নীরব সাহায্যের প্রতীক এরা
কতো দুষ্টামিতে দুশ্চিন্তা ভুলিয়ে দেয়া।
কতো না সহস্র স্মৃতি একসাথে বসে।
কতো না ভালোবাসা এদের মধ্যে।
ক্লাস শেষে তোকে দেখে নিবো-
ক্লাস শেষ তবে তোদের আর দেখে নেওয়া হলো না।
রাগের বশে, তুই আর আমার সাথে কথা বলবিনা-
ব্যস্ততায় মোড়ানো দিনে এখন চাইলেও কথা বলা হয় না।
তবুও তোদের ভালোবাসি।
তবুও এদের ভালোবাসি।
যে ভালোবাসায় নিখাঁদ ভালোবাসার স্বাদেই ভরপুর।