চায়ের রাজধানী ও পর্যটননগরী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য নতুন সংযোজন করা হয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’।
একটা সময় ছিল, যখন বাংলার অভিজাত পরিবারের একমাত্র বাহন ছিল ঘোড়ার গাড়ি। ওই সময় ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার সহজে চোখে পড়লেও বর্তমানে তা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।
বর্তমানে রাজধানীর পুরান ঢাকায় শখের বসে অনেকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে থাকেন। পুরান ঢাকার রাস্তায় চলাচলের পাশাপাশি এ গাড়িগুলো ঈদ, পয়লা বৈশাখ, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দিবস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে গুরুত্ব বহন করে। তবে সারা দেশ থেকে ঘোড়ার গাড়ি এক প্রকার বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
গত পয়লা বৈশাখ থেকে এই শ্রীমঙ্গলে ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’ যাত্রা শুরু করেছে।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক মো. মুসা বলেন, শ্রীমঙ্গলে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে ঘোড়ার গাড়ির চাহিদা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘোড়ার গাড়ি সংযোজনের বিষয়টি আমাদের চিন্তাভাবনায় আসে। এই গাড়িতে এক সঙ্গে দশজন বসতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে একশ টাকা করে। আর দশ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য ৫০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস দাশ বলেন, পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ প্রদানে ‘মহারাজা এক্সপ্রেসের’ সংযোজন একটি ভালো পরিকল্পনা। নিঃসন্দেহে শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে এটি।
প্রসঙ্গত, সপ্তরথী পরিবারের উদ্যোগে এই ঘোড়ার গাড়ি বের করা হয়েছে। শহরের সাতজন পর্যটন ব্যবসায়ী এক হয়ে এই গাড়িটি তৈরি করেছেন। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। প্রতিদিন শহরের বধ্যভূমি-৭১র সামনে গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকবে। সেখান থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে নীলকণ্ঠ চা কেবিন (সাত কালারের চা) পর্যন্ত যাবে এটি।