বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি :-
বিয়ানীবাজারের মাথিউরা ইউনিয়নের নালবহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দু’পক্ষের আরও ১০/১২ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আব্দুর রুফকে (৬৫) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট নেয়ার পথে মারা যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক এবং মাথিউরা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন।
জানা যায়, নিহত আব্দুর রুফ এর বসতঘরের বেড়ায় প্রতিবেশী পরিবার কয়েছ আহমদ গংদের টিনের চাল থেকে বৃষ্টির পানি পড়তো। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রুফ আপত্তি দিলেও কয়েছ গংরা আমলে নেননি। বিষয়টি প্রতিবেশীদের অবহিত করার পরও কোন প্রতিকার পাননি নিহত আব্দুর রুফ। বুধবার বিকালে পুনরায় আপত্তি দিলে কয়েছদের সাথে বাগবিতণ্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত আব্দুর রুফকে অজ্ঞান অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেট প্রেরণ করেন। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। তখন স্বজনরা তাকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে আব্দুল হামিদ (৬০), গোলাম কিবরিয়া শাওন (৩০), নাজিম উদ্দিন (৪৫) কয়েস আহমদ (৪০) আলীনুর (২২) ও রেদওয়ান আহমদসহ (১৩) উভয় পক্ষের ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেটে চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে