নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক্তন এমপি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুস সামাদ আজাদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) ছিল আব্দুস সামাদ আজাদের ১৫ মৃত্যু বার্ষিকী। সে উপলক্ষে কিছু স্মৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন।
আবু জাফর রাজু বলেন, ১৯৭৯ সাল, দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আব্বার নির্বাচনী প্রচারণায় কুলাউড়া আসলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ। কুলাউড়ার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে জীপগাড়ি নিয়ে জনসংযোগ, পথসভায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। কখনও জীপগাড়ি খানাখন্দে পড়ছে, আবার ধাক্কা দিয়ে তুলা হচ্ছে। এরই মধ্যে আকাশভারি করে মেঘ-তুফান আসলো। নেতা-কর্মীরা চিৎকার করে স্লোগান ধরলেন, “বৃষ্টি পরে ঝরে ঝরে, সামাদ ভাইয়ের আগমনে, সামাদ ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম “।
সামাদ চাচা আব্বাকে কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, ” জব্বার, ওরা আমকে নিয়ে Criticize (সমালোচনা) করেনি ? আব্বা বলেন, “জ্বীনা লিডার, অনেক দিন হলো বৃষ্টি হয়না, মাঠ-ঘাট ফেঁটে চৌচির হচ্ছে। বৃষ্টির অভাবে বোরো ধানের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আপনার আগমনে আল্লাহর রহমত স্বরূপ বৃষ্টি হচ্ছে, তাই মনের আনন্দে নেতা- কর্মীরা স্লোগান ধরছে-বৃষ্টি পরে ঝরে ঝরে সামাদ ভাইয়ের আগমনে”।
তিনি আরো লিখেন, “সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে আসা নেতৃবৃন্দে উদ্দেশ্য কলাবাগানের বাসভবনে মৃত্যুর কিছুদিন আগে কথাগুলি বলছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, কুটনীতিবিদ আব্দুস সামাদ আজাদ। পিছনে ফিরে তাকিয়ে বলেন এইতো আমার জব্বারের ছেলে এসেছে (আমি সবেমাত্র ভিতরে প্রবেশ করেছি )।
আক্ষেপ করে বলেন, ” কুলাউড়া আমার প্রিয় জায়গা, কতদিন হলো যাইনি “। আগত নেতৃবৃন্দের অনেকে মাননীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা সাথে সাক্ষাৎতের সুযোগ করে দেওয়া জন্য অনুরোধ করলে তিনি উপরের দিকে তাঁকিয়ে বলেন, আমাকে বলে লাভ নেই, আল্লাহর কাছে বলো, আমারও অনেক কথা আছে সভানেত্রীকে বলার, সময় সুযোগ পাচ্ছিনা। আল্লাহ সুযোগ দিলে আমার কথা বলবো, তোমাদের কথাও বলবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ চাচার সাথে অনেক সুখকর স্মৃতি আছে। আগামীতে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। মহান আল্লাহ চাচাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ সন্মানিত স্হান দান করুন। আমীন”।