টিপু সুলতান : চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তারদের পরেই যাদের অবদান রয়েছে তারা হচ্ছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। একজন মুমূর্ষ রোগীর সু-চিকিৎসা পেতে হলে অবশ্যই সঠিক রোগ নির্ণয় করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর জাহিদ মালিক একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে ২০০০ নতুন ডাক্তার এবং ৬০০০ নতুন নার্স নিয়োগের কথা বললেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কোনো অাশ্বাস দেননি। দীর্ঘ ১২ বছর থেকে অাইনি জটিলতার কারনে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। দেশের এই সংকটময় সময়েও করোনা মোকাবেলায় ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগে বাংলাদেশের প্রায় ৪০০০০ হাজার বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের হতাশ করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ১ জন ডাক্তারের বিপরীতে ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকবে। সেখানে অামাদের দেশে তার বিপরীত চিত্র দেখতে যাচ্ছে। অামাদের দেশে ৫ জন ডাক্তারের বিপরীতে রয়েছেন ১ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট । সেই হিসেবেও অামাদের দেশে প্রায় ৩০০০০ ( ত্রিশ হাজার) মানুষের বিপরীতে ১ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কাজ করছেন। তাছাড়া বর্তমান সময়েও করোনার নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সংকটের কারণে করোনার নমুনা সংগ্রহে মাঠে নামানো হচ্ছে অদক্ষ সি এইচ সিপিদের। যাদের সঠিক নমুনা সংগ্রহের অভাবে করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ অাসছে।
সবদিক বিবেচনা করে দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অাটকে থাকা নিয়োগ চালু করা এবং অতিদ্রুত অারও নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশর প্রায় ৪০০০০ বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।