ভয়েস অব সিলেট ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা গঠনের পনের বছর পর এই প্রথম আগামী ১০ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্টিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের আগস্টে জুড়ীকে প্রশাসনিক উপজেলা ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ২৮ নভেম্বর আব্দুল খালিক চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৫১সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করে জেলা আওয়ামী লীগ। ৯০দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও দীর্ঘ ১৫বছরে তা করতে ব্যর্থ হয় আহ্বায়ক কমিটি। এই ১৫বছরে বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে মাত্র ১৪টি বর্ধিত সভা হয়েছে।
পনের বছরে জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। সম্ভাব্য সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থীদের নিয়ে কর্মী-সমর্থকরা আলোচনা সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ নিজ পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে অজানা আশংকা দেখা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সম্মেলন হবে কি না? কাউন্সিলররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না? কোন কমিটি চাপিয়ে দেয়া হবে কি না? পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে না ছাত্রলীগ, যুবলীগের মত কমিটিহীন বা আংশিক কমিটি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হবে বছরের পর বছর ইত্যাদি প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে।
এমনকি প্রয়াত নেতাদের স্মরণে একটি শোক সভা বা দোয়া মাহফিলও করতে পারেনি এ কমিটি।
দীর্ঘ ১৫বছর পর আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে খ্যাত জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়া কর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছেন