কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি :-
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের থানার ওসি সজল কুমার কানুকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। রোববার (২৬ এপ্রিল) তাকে স্ট্যান্ড রিলিজের এ আদেশ দেয়া হয়।
এদিকে তার অবর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রজিউল্লাহ খানকে ইনচার্জের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শেখ লুৎফুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের দায়িত্ব পালনের সময় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন ওসি সজল কুমার কানু। এরমধ্যে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ডাকাতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করলেও ওসি সজল ডাকাতির ঘটনা এড়িয়ে যান।
এছাড়া উপজেলা শাহ আরেফিন টিলার প্রবেশ মুখে দায়িত্ব পালন করার সময় স্থানীয় আঞ্জু বাহিনীর হাতে মারধোরের শিকার হন থানার এসআই ইয়াকুব আলীসহ কয়েকজন পুলিশ। তবে পুলিশের মার খাওয়ার এ ঘটনাও চেপে যান ওসি সজল কুমার কানু। এরপর সাংবাদিকদের তথ্য দেয়ার কারণে থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করে ওসি এমন অভিযোগও উঠে। আর মার খাওয়ার ঘটনায় টাকার বিনিময়ে রফাদফা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এরপর সারাদেশ যখন করোনাভাইরাসে ঘরবন্দি তখন কোম্পানীগঞ্জে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে পাথর উত্তোলন। এতে উপজেলা করোনা ঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে ৩ এপ্রিল করোনা আতঙ্কেও কোম্পানীগঞ্জে চলছে পাথর উত্তোলন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এছাড়াও ওসি সজল কুমার কানুর কোয়ারি চালু, গরুর চোরাচালানের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে ফোন রেকর্ড, পাথর উত্তোলন, ডাকাতির অভিযোগে ব্যবস্থা না নেয়াসহ নানা অভিযোগে অন্যান্য গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। তারপরই ওসির সজল কুমার কানুর কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে তদন্তের কাজ চলমান বলে জানা গেছে।