নিজস্ব প্রতিবেদক:-
সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকের করোনা শনাক্তের পর হাসপাতালের ৮০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের সকলরকম খরচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করছে বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
তিনি সিলেট ভয়েসকে বলেন, ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক এমবিবিএস পরীক্ষা দিয়ে গাজীপুর তার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি ওসমানী হাসপাতালে যোগদানের জন্য আসেন। তিনি সিলেটে আসার পর তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক হোস্টেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই সাথে তার সংস্পর্শে আসা ৮০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের সকলের খাবার থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছু সরকারি ভাবে বহন করা হচ্ছে।
এদিকে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের স্টোর কিপারের করোনা শনাক্তের পর তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। একই সাথে তার পরিবারের সকলকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়ে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান ডা. হিমাংশু লাল রায়।
আক্রান্ত এ স্টোর কিপার নগরীর জিন্দাবাজারস্থ কাজী ইলিয়াস এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে বুধবার (২২ এপ্রিল) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত বিশেষায়িত ল্যাবে টেস্টে করে সিলেটের ওই চিকিৎসক ও শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের একজন স্টোর কিপারসহ সিলেট বিভাগে মিলে মোট ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সিলেট জেলার ২ জন, হবিগঞ্জের ৫ জন, মৌলভীবাজারের ২ জন ও সুনামগঞ্জের ৪ জন রয়েছেন।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত বিশেষায়িত ল্যাবে আরো ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ওইদিন ওসমানী মেডিকেলের করোনা পরীক্ষাগারে ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনের করোনা পজিটিভ আসে।
এরমধ্যে সিলেটের ৫, সুনামগঞ্জের ৮ ও হবিগঞ্জের ৩ জন রয়েছেন। তবে আগের দিন মৌলভীবাজারের দুজন করোনা শনাক্ত হলেও বৃহস্পতিবার ওই জেলার কারো করোনা পজিটিভ ধরা পড়েনি। সিলেট জেলায় করোনা শনাক্ত ১ জন জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মী। এছাড়াও হবিগঞ্জে নতুনশনাক্তদের একজন মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্কর্মী বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের ১৬ জন মিলে সিলেট বিভাগে এপর্যন্ত ৪৯ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তবে সিলেট জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত ডা. মঈন উদ্দিন গত ১৫ এপ্রিল মারা গেছেন