সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বারম ও চাপতির হাওরে কৃষকদের ধান কাটায় উদ্বুদ্ধ করতে এবং হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলমান করোনা সংক্রমণের ফলে বিশ্বে কৃষি ও অকৃষি উৎপাদনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। হাওরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শ্রমিক সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ধান কাটার মেশিন দিয়েছে। যেসব এলাকার ধান কাটার উপযুক্ত হয়েছে, অন্য এলাকার কম্বাইন্ড হারভেস্টর এবং রিপার মেশিন সেসব এলাকায় নিয়ে আসা হবে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ শ্রমিক আনতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। শ্রমিক পরিবহনের প্রয়োজনীয় সকল সাপোর্ট দেয়া হবে। শ্রমিকেরা যাতে ন্যায্য মজুরি পায় এবং শ্রমিকদের ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হবে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ধান কাটার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আসিফ ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রাশেদ ইকবাল, পাউবোর সিলেট বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. নিজামুল হক ভূইঁয়া, অতিরিক্ত পরিচালক নিবাস দেবনাথ, নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুল ইসলাম, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফি উল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারিয়া সুলতানা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহিন আলম, জগদল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ প্রমুখ