নজরুল ইসলাম:
COVID-19 করোনা ভাইরাস মহামারীতে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উপর যে প্রেসার পড়েছে দায়িত্বে নিয়োজিত যে কাঊকে এমন পরিস্থিতি পরিকল্পনা অনুযায়ী মোকাবেলা বেশ কঠিন কাজ।
বিশ্বের কোন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এমন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত ছিল না। বাংলাদেশ ও দেশের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রিও এমন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। ইংল্যান্ডের মত দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ যেখানে থরথর করে কাঁপছে সেখানে হুজুগে দোষারোপ করে সমস্যা উত্তরণ কঠিন। ইংল্যান্ডে অনেক সমস্যা তাদের মোকাবেলায় করতে হচ্ছে। ইংল্যান্ডের মত দেশেও PPE personal Protective Equipment যোগান দিতে পারছে না। this is true picture, তবে দায়িত্ব প্রাপ্তরা দক্ষতার সাথে তা মোকাবেলায় করেই চলছেন। কি করলেন, কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জাতির সামনে দিন শেযে অত্যন্ত পরিস্কার ভাবে উপস্থাপন করছেন। যা দেশের মহামারীতে লকডাউনে বাসায় থাকা নাগরিকদের মনে যে উৎকণ্ঠা ভীতি প্রশ্ন তুলে তা মিমাংসিত হয়।
সেই বিচারে আমাদের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রিকে অনেকটা ইনকম্পিটেন্ট (incompetent) মনে হচ্ছে। এই COVID-19 মহামারী মোকাবেলায় এর চেয়ে ভাল পারপোমেন্স তিনির ধারা সম্ভব কি না তা নিয়ে সন্দেহ ঘুরপাক খাচ্ছে। নিঃসন্দেহে তিনি একজন সম্মানিত সজ্জন রাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনির বয়স বর্তমান পরিস্থিতি আনুষঙ্গিক বিযয় বিবেচনায় এনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রি আপনি যদি একজন দক্ষ এনার্জেটিক professional ব্যক্তি বিশেযকে নিয়োগ দেন তাতে করে জনমনে তিনি যে সামাল দিতে পারছেন না সেই confusion দুরিভুত হবে বলে মনে করছি। তবে এই মহামারী নিয়ন্ত্রনে যে কাউকে বেগ পেতে হবে সমালিচিত হতে হবে।
অনেকেই প্রধানমন্ত্রিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। দেখেন, প্রধানমন্ত্রি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রি মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে কাজ করছেন না। তিনি প্রধানমন্ত্রি ! দেশ ও দেশের কঠিন পরিস্থিতি তিনিকেই সব মন্ত্রনালয়কে দেখতে হয় সমন্বয় করতে হয়। আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রি দক্ষতার সাথেই তা পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশের এই কঠিন সময়ে আপনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষনতা, সিদ্ধান্ত গ্রহন ও নেতৃত্ব নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আপনি ‘অবিশ্বাস্য কাজ করছেন।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে একজন দক্ষ এনার্জেটিক professional ব্যক্তি বিশেযকে জনগুরুত্বপুন্য এই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না সিদ্ধান্ত আপনারই।
লেখক: ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট, ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) লন্ডন, মেম্বার, দি ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি ইউনাইটেড কিংডম।