নিজস্ব প্রতিবেদক:-
সিলেট রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমানসহ রেলওয়ের ২৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার (১৮ এপ্রিল) লকডাউন অমান্য করে ২৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটে একটি ট্রেন আসায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, লকডাউন অমান্য করে গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় ৫৪ জনকে নিয়ে ঢাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন সিলেটে এসে পৌঁছায়। যদিও গত ২৪ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। এরপর গত ১১ এপ্রিল লকডাউন করা হয় সিলেটকে। সিলেটের বাইরে যাওয়া ও প্রবেশ দুটোই নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সকল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি সিলেটে আসে। মহামারী করোনাভাইরাসের এই সময়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে এভাবে ট্রেন আসার ঘটনায় সিলেট জুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ মিয়া গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রেলওয়ে স্টেশনে যান। জেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে সিলেট স্টেশনে ট্রেনের প্রবেশের কোনো কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে রেলওয়ের ২৩ কর্মকর্তা ও ৩১ জন যাত্রী ওই ট্রেন থেকে নেমেছেন বলে নিশ্চিত হন এরশাদ মিয়া।
এদিকে, ঢাকা থেকে সিলেট আসা ট্রেনটি আজ রবিবার সকাল ৮টায় রেলওয়ের ২৪ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ছেড়েছে। সিলেটে ট্রেন আসবে এই খবর জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়নি বলে সিলেট মিররকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘ট্রেনে আসা রেলওয়ের কর্মকর্তারাই ৩১ জন যাত্রী এনেছেন। তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।’ ট্রেনে আসা ৩১ জন যাত্রীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে খুঁজছি। তবে তাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।’
এ বিষয়ে সিলেট রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘ট্রেনে যাত্রী আনা উচিত হয়নি। এটা আমাদের ভুল। সিলেটে ট্রেন এলে যে জেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে- এটাও আমি জানতাম না। ভেবেছিলাম এটা শুধু আমাদের বিষয়