নিজস্ব প্রতিবেদক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। তাঁর খুবই ইচ্ছে ছিল আমারা ভাইবোনদের মধ্যে কেউ যেন আইনজীবী হই। আমি আইন বিষয়ে ডিগ্রী লাভ করে শিক্ষাণবীশ হিসাবে কিছু দিন কাজ করেছি। পরবর্তীতে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার কারণে আমি আইনজীবী হতে পারিনি।
শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদানকারী নবীন আইনজীবীদের কর্মশালা ও নবীনবরণ উপলক্ষে সমিতির ২ নং হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, মানুষের জীবনের পরিবর্তনে আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে অনেকেই ইতিপূর্বে প্রধান বিচারপতিসহ অনেক বিচারপতি হয়েছেন। তিনি নবীন আইনজীবীদের সততা ও সম্মানের সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২৯৪ জন নবীন আইনজীবীকে সিলেট জেলা বারের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এর আগে বিকেল ৩ টায় নবীন আইনজীবীদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সভাপতি মো. জামিলুল হক জামিলের সভাপতিত্বে কর্মশালার শুরুতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ আইনজীবীদের পেশাগত আচরণ ও শিষ্টাচারের উপর এক লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ শেখ আশফাকুর রহমান, জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী দেবাশীষ সেন এডভোকেট, দেওয়ান গোলাম রব্বানী চৌধুরী এডভোকেট, রেজাউল করিম চৌধুরী এডভোকেট, সিলেট ল’কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মহসীন আহমদ।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে.মোমেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ওয়েবসাইট www.sylhetbar.com.bd ও আইনজীবী সমিতির অফিসিয়াল Software base online এর উদ্বোধন করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জামিলুল হক জামিলের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শংকর লাল দাসের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হোসেন আহমদ এডভোকেট। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কে.এম. রাশেদুজ্জামান রাজা। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এ.এফ.এম. রুহুল আনাম চৌধুরী (মিন্টু) এডভোকেট, সিলেটে সরকারী কৌঁসুলি খাদেমুল মিল্লাত মোহাম্মদ জালাল এডভোকেট, সিলেটের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সামছুল ইসলাম এডভোকেট।
#এম