আবু জুবায়ের:
প্রায় দুুই বছর আগে সিলেট সরকারি কলেজে দশ তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পর ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর কথা থাকলেও হয়নি। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তাও এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষা প্রকৌশল কর্মকর্তারা।
সিলেট সরকারি কলেজ সূত্রে জানা গেছে- ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট এমসি ও সরকারি কলেজে পৃথক দু’টি দশ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করার কথা ছিলো। এদিন শিক্ষামন্ত্রী আসতে না পারায় পরে একই বছরের ২৬ আগষ্ট ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে সভায় কলেজের পাঠদান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন দিনেও ভবন নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে সিলেট সরকারী কলেজে ক্লাস রুম সংকটের জন্য একাডেমির কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা কর্তৃপক্ষের জন্য কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে- বর্তমানে কলেজে একাদশ, দ্বাদশ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার । যেখানে একটি সেকশনে এক সাথে ক্লাস করেন ১৫০ জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ২০১৭ সালে কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাঁচটি বিষয়ের অনার্স কোর্স চালু হয়। যার জন্য নেই আলাদা কোন ভবন কিংবা ক্লাস রুম। সবমিলিয়ে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সায়েম বলেন- আমাদের প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্ট এর জন্য একটি করে ক্লাস রুম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে কলেজে অনার্সের দুটি ব্যাচ রয়েছে। যেখানে একটি রুমে দুই ব্যাচের ক্লাস করানো হয়। যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর বিষয়। তাই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র -ছাত্রীরা কলেজে আসে না বললেই চলে। কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব অনার্সের জন্য আলদা ভবনের ব্যবস্থা করা হোক।
শিক্ষা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে- সিলেট সরকারি কলেজে মসজিদের উত্তর পার্শ্বে ভবন নির্মাণ কাজের জন্য জায়গা নির্ধারণ ককরা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা।
কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন কবে শুরু হবে দশ তলা ভবনের কাজ? মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উচিৎ ক্লাস সংকট নিরসে এই প্রকল্পটির কাজ শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা।
সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম ভয়েসঅবসিলেট‘কে বলেন, ‘ভবন নির্মাণের ব্যয় সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। সব কাজ শেষ দিকে আছে, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’
#ভয়েসঅবসিলেট/এমএইচ