জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এঘটনায় ১২ জন গুরুতর আহত হযেছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিন ছাত্রী ও ৯ ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা নবম দিনের মতো আজ মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। তারা সকালে উপাচার্যের বাসভবন অবরোধ করলে সেখানে আসেন উপাচার্যপন্থী কয়েকজন শিক্ষক। তারা আন্দোলনকারীদের সাথে বাকবিতন্ডা করে চলে যাবার পর বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। তারা অনেক নারী কর্মীদেরও ধরে নিয়ে চড় লাথি মারতে মারতে নিয়ে যায়। তারা বলেন, হামলাকারীরা ভিসি ফারজানা ইসলামের পক্ষ হয়ে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের প্ররোচনায় এই হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের একজনের হাতে পিস্তল দেখা গেছে। অন্যরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, উপাচার্য ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। অন্যদিকে, উপাচার্য ফারজানা ইসলামের পক্ষে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।