ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃসিলেটের ওসমানীনগরে পরিকল্পিত একটি সাজানো মিথ্যা মামলায় আসামিকে রিমান্ডে এনে আসামির বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র রেখে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানোর অভিযোগ করেন ওসমানীনগরের ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের বিরুদ্ধে আসামির পরিবারের মহিলাদের সাথে অশালিন আচরণেরও অভিযোগ উঠেছে।
প্রবাসী সৎ ভাইয়ের দেয়া মিথ্যা মামলায় পুলিশি হয়রানির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন বক্তব্যে জানান উপজেলার উসমানপুর ইউপির মহব্বতপুর গ্রামের নৈশত আলীর পুত্র মনোহর আলী। বুধরবার বিকাল ৪টায় উপজেলার তাজপুর বাজারে একটি রেষ্টুরেন্টে মনোহর আলী সাংবাদিক সম্মেলন করে তার সৎ ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো: রহিম আলী ও ওসমানীনগর থানা পুলিশের এস আই মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে মো: মনোহর আলী জানান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী তার সৎ ভাই ৮/৯ বছর পূর্বে তার পৈত্রিক বাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তার ভাইয়ের কাছে পৈত্রিক বাড়ি বিক্রি করেন নি। অন্যদিকে প্রবাসি রহিম আলী বহু বিবাহ করেছেন। ৬/৭ বছর আগে তিনি পাশের বাড়ির এক মেয়েকে বিবাহ করতে চাইলে পরিবারের লোকজন আপত্তি দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এসব বিষয় নিয়ে নিয়ে তিনি মিথ্যা মামলার আশ্রয় নেন। মিথ্যা মামলায় আমরা হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। এ সুযোগে রহিম আলী আমার বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে ভবন বানানোর কাজ শুরু করেছেন। ঘরের পানির লাইন বন্ধ করেছেন। আমরা এখন পাশ্ববর্তি বাড়ি থেকে পানি এনে চলছি। রাস্তা ছাড়া পাশের জঙ্গল দিয়ে চলা ফেরা করছি।
সাংবাদিকদের কাছে উপস্থিত মাহমুদা বেগম বলেন, আমার বাড়িতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রিমান্ডে আনা আসামি রকিব আলীকে নিয়ে পুলিশের দারোগা মোয়াজ্জেম উপস্থিত হন। তিনি আমাকে দরজা খোলতে বলেন। দরজা খোললে দারোগা মোয়াজ্জেম বিছানার নিচে তার পকেট থেকে কাগজের মোড়ানো একটি চাকু রাখেন। আমি চিৎকার করে প্রতিবাদ করলে গলা ধাক্কাা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন।
এরপর আসামিকে নিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকে পুলিশের রাখা চাকু আসামির বলে চালিয়ে দেন। আমি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানাবো বললে আমাকে গালিগালাজ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমি রিমান্ডের আসামিকে নিয়ে উবর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে চুরির ধান ও অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়েছি। আসামিকে সাথে নিয়েই তার দেখানো ধান ও অস্ত্র উদ্ধার করেছি।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইন্চার্জ মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক বলেন, আমি থানায় নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। মামলার আইওকে জিজ্ঞিস করে আপনাকে জানাবো। সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, এলাকার মুরব্বী আব্দুর রব, ছমির আলী, আলমাছ আলী, ছুরুক আলী,আব্দুল খালিক, ফয়ছল আহমদ, মিছির আলী,মাহমুদা বেগম, আমিনা বেগম,লুৎফা বেগম, জাসনা বেগম, রুজিনা বেগম প্রমূখ।