নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেট জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার খবরে অনেকটা আশার আলো দেখা দিয়েছে মাঠ পর্যায়ে তৃনমুল নেতাকর্মীদের মাঝে।
তৃনমুল পর্যায়ের নেতাদের দাবী, গতিহীন সংগঠনকে গতিশীলে পরিণত করতে জেলা, মহানগর ও উপজেলা সম্মেলনের আগে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন হওয়া অতীব জরুরী বটে।
কেননা, কিছু কিছু ইউনিয়ন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে অনেকেই এক প্রকার স্বেচ্ছাচারিতা করছেন।
দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করায় দলের মধ্যে পরিবারতন্ত্রও গড়ে তুলেছেন কেউ কেউ। বঞ্চিত হয়েছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা। ফলে তৃণমূলে সম্মেলনের খবরে এখন উচ্ছ¡সিত তারা।
সম্মেলনের মাধ্যমে এবার অবসান হতে যাচ্ছে তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার। আসবে নতুন নেতৃত্ব। ঝিমিয়ে পড়া সংগঠনকে নতুন রুপে উজ্জীবিত করতে ইউনিয়ন আ,লীগের সম্মেলনের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্বারা।
তারা মনে করেন,মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটিতে জায়গা করে দিলে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
তাদের দাবী, যারা অতীতে রাজনীতিবিদ সেজে রাজনীতির পরিবর্তে ব্যবসা করেছেন তাদেরকে বর্জন করতে হবে। আর সৎ নেতাকে যোগ্য মনে করে তৃণমূলের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে যোগ্য নেতা নির্বাচন করতে হবে।
অযোগ্যদের আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে বর্জন করতে উদাত্ত আহবান জানান তৃণমূল কর্মীরা। তাদের সাথে আলাপ করে এমন অভিমত জানা গেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, গ্রুপ নির্ভর রাজনীতি, কর্মী বান্ধবহীন নেতাদের সরিয়ে দিয়ে সৎ নেতাদের হাতে যোগ্য নেতৃত্ব তুলে দেয়ার বিকল্প পথ নেই