বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা গ্রামের রাস্তার পাশে ও ডোবা থেকে কুচি টাকা উদ্ধার করা হয় মঙ্গলবার।
প্রথমে এ নিয়ে রহস্য ছড়িয়ে পড়লেও পরে যানা যায় টাকাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের। কুচি করে ভাগাড়ে ফেলার জন্য বগুড়া পৌরসভাকে দেয়া হয়েছিল।
শাহজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন প্রথমে জানান টাকাগুলো পৌরসভা থেকে ফেলা হয়েছে। এরপর বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু পৌরসভার নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনে না ফেলে জালশুকা গ্রামের রাস্তার পাশে কেন ফেলা হলো? এমন প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন এগিয়ে এলেন ওই গ্রামের জাহিদ। তিনি জানালেন, শনিবার রাতে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় তিনি দেখেন- একটি ট্রাক থেকে বস্তা ফেলা হচ্ছে। ফেলছেন ওই গ্রামেরই মাসুম। জাহিদ তখন সঙ্গীদের নিয়ে এগিয়ে গেলেও কিছু না জানিয়ে তাড়িয়ে দেন তাদের।
মাসুম টাকাগুলো কোথায় পেলেন এমন প্রশ্নের জট খুলে দেন বগুড়া পৌরসভার সচিব রেজাউল করিম। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কুচি টাকাগুলো পৌরসভাকে দেয়া হয় ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার জন্য। পৌরসভার নিজস্ব গাড়ি না থাকায় মাসুদ নামে এক চালকের ট্রাকে দেয়া হয় পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার জন্য। তিনি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য নিয়ে যান বাড়িতে। পরে এলাকার লোকজন বলেন, ‘টাকা হলো লক্ষ্মী। পোড়ালে কপালে শনি আছে। এ টাকা পোড়ানো যাবে না।’ এরপর মাসুম টাকাগুলো রাস্তার পাশে ফেলে দেন।
সচিব রেজাউল করিম বলেন, এগুলোর তদারকিতে ছিলেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক মামুন অর রশীদ। দায়িত্বে গাফিলতির কারণে তাকেসহ তিনজকে শো-কজ করা হয়েছে।