জগন্নাথপুরে আকষ্মিক বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তি জনপদ পানিবন্দি
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া রানীগঞ্জ দক্ষিণ পাড়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ পানির তোড়ে ভেঙে গেছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে কুশিয়ারা নদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী জনপদের মধ্যে বন্যা আতংক দেখা দেয়।
পানিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি রয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতেছে। এসব এলাকার গ্রামীণ ছোট ছোট রাস্তা ঘাট, ব্রীজ, কার্লভাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বিভিন্ন গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রায় বিচ্ছিন রয়েছে।
রানীগঞ্জ দক্ষিণ পাড়-রৌয়াইল বাজারের রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। রানীগঞ্জ বাজারের পশ্চিম গলি পানিতে ডুবে যাওয়ায় বাগময়না, স্বজনশ্রী, গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ-আউশকান্দি ভায়া ঢাকা রোডে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম রানীগঞ্জ কুশিয়ারা নদীর ফেরীর উভয় পাড়ের রাস্তা ডুবে যাওয়ায় গাড়ী চলাচল করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর তলদেশে ভরাট হওয়ায় অল্প পানিতে বন্যা দেখা দেয়। বর্তমান সময়ে বেড়ী বাধেঁর কাজ মজবুধ থাকার কারনে পানি বিভিন্ন স্থানে যেতে পারছেনা।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কুশিয়ারা নদী ও ইটাকলা নদীর সাথে সংযোগ করে রানীগঞ্জ বাজারের পাশে খেয়া ঘাটে সামনে সূইচগেইট দেওয়া হলে, রানীগঞ্জ বাজার সহ আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের বন্যা থেকে মুক্তিপাবে বলে তারা জানান।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিলেন্ট) ইয়াসির আরাফাত বলেন, উপজেলা প্রত্যেক চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বন্যা বিষয়ে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখার জন্য কন্টল রুম খোলা হয়েছে। এ উপজেলায় এখনো বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা মত পরিবেশ আসে নাই।