বয়েজ অফ সিলেট ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী হবে আনন্দ-বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের টেমস নদী দেখার জন্য আর লন্ডনে যেতে হবে না, বুড়িগঙ্গা গেলেই হবে।
২০২০ সালের মধ্যে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে কাজ শেষ হবে জানান মন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেবল বুড়িগঙ্গাই নয়, সব নদী দখলমুক্ত করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও পরিকল্পনায় এ কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
দখলদারদের সতর্ক করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কেউ নদী দখলের চিন্তা করলে ভুল করবেন। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার, অন্য কোনো সরকার নয়। দখলের চেষ্টা করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বিচার হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে নদীর তীর দখলে ব্যবহার করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, অভিযানকালে নদীর জায়গায় ৪৮টির অধিক মসজিদ পাওয়া গেছে। মসজিদ নির্মাণ করে জায়গাগুলো দখলের চেষ্টা করা হয়। ইসলাম ধর্ম সরকারি জায়গায় বা বিতর্কিত জায়গায় মসজিদ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করার অনুমতি দেয়নি।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী নদীর জায়গা দখলদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত করতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সালাম, পরিবেশবিদ আবুল মকসুদসহ অনেকে।
বিঅসি/ এজে