স্কুলছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মার পুরো শরীরে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে ক্ষত পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
শিশুটির ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বিষয়টি জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সোহেল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে সায়মাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ প্রধান বলেন, ময়নাতদন্তে শিশুটির যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে রক্ত, আঘাত ও ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন মিলেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে আটার দিকে পুরান ঢাকার ওয়ারী থানাধীন বনগ্রাম এলাকার বাড়ি থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সায়মা ওয়ারীর সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী। শিশুর বাবা নবাবপুরের ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। তিনি ওয়ারী থানার ১৩৯ বনগ্রামের বাড়ির ছয় তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় সায়মা বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে আটটায় একই বাড়ির আট তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে লাশ পাওয়া যায়।
নিহত সায়মার বাবা আবদুস সালাম বলেন, আমি মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। পরে সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। এসে দেখি সায়মা নেই। আমি ও আমার স্ত্রী তাকে খুঁজতে শুরু করি। রাত সাড়ে আটটার দিকে আট তলার রান্না ঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।
ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, শিশু সায়মার গলায় দাগ রয়েছে, ঠোঁটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।
এ ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে শিশুটির বাবা অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারি থানায় মামলা করেন। পরে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মো. সামসুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।