চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলার মুখ গ্রুপের নেতা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী ঘর একদিনে ৪ বার ভাঙচুর ও ক্যাম্পাস ছাড়তে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কর্মচারী প্রক্টর অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করা হয়। ভুক্তভোগী ওই কর্মচারী নাম ফজলুল করিম খোকন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ল্যাব এটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগ পত্রে ফজলুল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের উত্তর পশ্চিম পার্শ্বে শোভা কলোনিতে কতৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে স্ব-নির্মিত ঘরে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় আমি অফিস থেকে ফেরার পথে পুরাতন বিএনসিসি সংলগ্ন মাঠে অতর্কিতভাবে নাজিম উদ্দীন আমার উপর আক্রমণ চালিয়ে আমাকে মারধর করতে থাকে। বিষয়টি আমি প্রক্টর বরাবর অবহিত করিনি। কারন, ছাত্রনেতা মামুন বিষয়টি মিমাংসা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার প্রেক্ষিতে আমরা আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করিনি। গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় আমার বড় মেয়ে ‘পান্না’ শোভা কলোনির পুকুর ঘাটে গেলে নাজিম উদ্দীন অতর্কিতভাবে রড দিয়ে হামলা করে তাকে মারাত্মকভাবে জখম করে। বর্তমানে পান্না চট্টগ্রামের প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তিরত আছে।
একইদিন বিকেল সাড়ে ৪ টায় নাজিমের বাবা মুজিব ও তার মেয়েসহ শোভা কলোনির মসজিদের সামনে আমাকে এবং আমার ছোট ছেলের উপর হামলা চালায়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫ টায় নাজিম তার সঙ্গিদের নিয়ে আমার ঘরে ছোট ছেলের উপর আবারও আক্রমণ করে। পরবর্তীতে রাত ৮ টার দিকে ৪র্থ বারের মত আমার ঘরের দরজা, টিন, মোটরসাইকেল এবং ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করে।
ছাত্রনেতা মামুন বিষয়টিকে মিমাংসা করার উদ্যোগ নিলেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাছাড়া আজ (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আমাকে মৌখিকভাবে চাকুরী ছেড়ে ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার মারাত্মক হুমকির মুখে আছি। ইতোমধ্যে আমি হাটহাজারী থানায় একটি জিডি করেছি। কাজেই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনকে একাধিক বার মুঠোফোন কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী চৌধুরী বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।