‘ধারালো বর্শার মতো স্বর্ণময় সূর্যরশ্মি ফলা/ক্বিন ব্রিজে আঘাত হানে। শুরু হয় জনতার চলা।
’ সুরমাপারের কবি দিলওয়ার তাঁর ‘ক্বিন ব্রিজে সূর্যোদয়’ কবিতায় এভাবেই তুলে ধরেছিলেন সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিন ব্রিজকে। সেই কিন ব্রিজ দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এই ব্রিজ দিয়ে শুধু হেঁটে চলাচল করা যাবে।
ব্রিজটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় গত শনিবার মধ্যরাত থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সিলেট বলতে যে কয়টি নিদর্শন চোখে ভেসে ওঠে তার একটি ক্বিন ব্রিজ। লন্ডনের টেমস নদীর ওপর নির্মিত লন্ডন টাওয়ার ব্রিজের সঙ্গে কিন ব্রিজের অনেক মিল। সিলেট ও লন্ডনের প্রতীকী চিত্র তুলে ধরতে টেমস ও সুরমার ব্রিজ দুটির ছবিই সর্বত্র চোখে পড়ে।
ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৬ সালে সিলেট ক্বিন ব্রিজ চালু হয়। তৎকালীন আসামের গভর্নর মাইকেল কিন সুরমা নদীর ওপর লোহার এ ব্রিজটি তৈরি করেন।
পরে ব্রিজটির নাম তাঁর নামানুসারে ব্রিজ রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিজটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে এটি সংস্কার করে ফের চালু করা হয়। ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ায় অনেক বছর আগেই ব্রিজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে রিকশা এবং হালকা যানবাহন চলাচল করত ব্রিজ দিয়ে। এবার তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাত ১২টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ব্রিজে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেন।