মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলার বরমচাল বড়ছড়ায় সংঘটিত ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ছিটকে পড়া বগিগুলোর উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।
শুক্রবার উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন শেষ বগি অর্থাৎ বড়ছড়া নামক পাহাড়ী ছড়ায় ছিটকে পড়া বগিটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২৩ জুন ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬টি বগি বরমচাল স্টেশনের বড়ছড়া ব্রিজ এলাকায় পড়ে যায়। এর মধ্যে ৪টি বগি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে। একটি বগি বড়ছড়া ব্রিজের নিচে পড়ে যায়। সেই দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হয়।
ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলওয়ের ক্ষতি হয়েছে ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। দুর্ঘটনায় যান্ত্রিক, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম, প্রকৌশল বিভাগের সব মিলিয়ে এ ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য রেলপথের মৌলভীবাজার-কুলাউড়া অংশের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী (পথ) জুলহাস উদ্দিনকে ও ইনচার্জ সাইফুল আলমকে দায়ী করা হয়েছে তদন্ত রির্পোটে।
দুর্ঘটনার পর গত ২৮ জুন পাহাড়ি ঢলে বড়ছড়ায় ছিটকে পড়া বগির কারণে হুমকির মুখে পড়ে ব্রিজ। এতে ট্রেন চলাচলও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে টনক নড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। ২৯ জুন বগিটি ছড়া থেকে উত্তোলন করে রেললাইনের পাশে রাখা হয়।
এরপর রেলরাইনের পাশে ছিটকে পড়া একে একে ৩টি বগি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বশেষ শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বগিটিও উদ্ধার করা হয়।
বরমচাল স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার রোমান আহমদ জানান, বেলা ২টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভবিক হয়।
এদিকে উদ্ধার কাজের জন্য সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত ট্রেন মাইজগাঁও স্টেশনে এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন কুলাউড়া স্টেশনে আটকা পড়ে।