নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন সিলেট নগরীর কোরবানি দাতারা। পরে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০ ট্রাক চামড়া ময়লার সাথে সংগ্রহ করে ডাম্পিং স্পটে পুঁতে ফেলেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।
এদিকে এতিম ছাত্রদের সাহায্যার্থে দিনব্যাপী বাড়ি বাড়ি হেঁটে চামড়া সংগ্রহ করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তা বিক্রি করতে না পেরে রাতে ওগুলো নগরীর আম্বরখানায় একটি রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছে একটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে ওগুলো ময়লার সাথে তুলে নেয় (সিসিক)।

নগরীর দক্ষিণ সুরমার ক্বীন ব্রিজের চিত্র
সবাই এরকম প্রতিবাদ না জানালেও অবিক্রীত চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েন অনেকে। সকালে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চামড়ার স্তূপ দেখা গেছে। পরে এসব চামড়া সংগ্রহ করে ডাম্পিং স্পটে পুঁতে ফেলেছে সিসিক।
শুধু নগরী কিংবা নগরীর মাদ্রাসাই নয়, সিলেট জেলার বেশির ভাগ এলাকাতেই চামড়া বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। ফলে অবিক্রীত চামড়া পুঁতে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশে রয়েছে চামড়ার বিশাল বাজার। এই চামড়া শিল্পের বাজারে বড় যোগান দিয়ে থাকে কোরবানির পশুর চামড়া। বিগত সময়ে চামড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও গত কয়েক বছর থেকে মূল্যহীন হয়ে উঠছে কোরবানির পশুর চামড়া।
বছর বছর বাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম বাড়লেও গত কয়েক বছর থেকে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম একেবারেই কমে আসছে। কিন্তু এবছর চামড়ার ক্রেতা খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আর ভাগ্যের ভাগ্যের জোরে কেউ বিক্রি করতে পারলেও তা একেবারেই পানির দামে। এ অবস্থায় নগরীর বেশির ভাগ চামড়ার ঠাই হয়েছে সিসিকের আবর্জনায়।
এ ব্যাপারে ঈদুল আযহা উপলক্ষে অস্থায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রুহুল আমিন বলেন, নিদিষ্ট কোন সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে বিপুল সংখ্যক কোরবানির চামরা ডাম্পিং করা হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, নগরী থেকে প্রায় ২০ ট্রাক চামড়া ডাম্পিং করা হয়েছে। সকালে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এসব চামড়া রাখা ছিল। পরে সেগুলো ডাম্পিং করা হয়েছে। তবে কেন এবার এতো চামড়া অবিক্রীত রয়ে গেল। তা বোধগম্য নয়।