জম্মু-কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা ও বিধিনিষেধ সত্ত্বেও শত শত মানুষ জুমা নামাজে শামিল হয়েছেন। রাজ্যটিতে ৩৭০ ধারা বাতিল করে সেটিকে দুটি কেন্দ্রীয় প্রদেশে বিভক্ত করার পর থেকে সেখানে নতুন করে কয়েক হাজার আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে।
এরপরে আজ (শুক্রবার) প্রথম সেখানে বিভিন্ন মসজিদে জুমা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা কাশ্মির উপত্যকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দোকান-বাজার বন্ধ রয়েছে। যদিও শ্রীনগরে পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হতে চলেছে। আজ শ্রীনগরের পাশপাশি উপত্যকার অন্য শহরের মসজিদে জুমা নামাজ পড়ার জন্য মানুষজন পথে বের হন।
রাজ্যটিতে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর আজই প্রথম জম্মুতে স্কুল-কলেজ খোলে। জম্মুতে কারফিউ শিথিল করাসহ সকাল ১১ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন বাজার খোলা রাখা হয়। কঠুয়া ও সাম্বা জেলায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল জম্মু-কাশ্মিরের গভর্নর সত্যপাল মালিকের সঙ্গে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। গভর্নর বলেন কাশ্মির উপত্যকায় শান্তিতে ঈদ পালিত হবে। কাশ্মিরি লোকদের দেয়া সুবিধা যাচাই করা হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।
এপ্রসঙ্গে আজ (শুক্রবার)পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম রেডিও তেহরানকে বলেন, ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে ওখানকার মানুষদের প্রতিক্রিয়া যেটা হবে তাকে ঠিক রাখার জন্য, পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বহু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে। এটা ওদের দুর্ভাগ্য যে ওদের এসব ভোগ করতে হচ্ছে।’
আমাদের এটা সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যাই হোক না কেন তা সহ্য করতে হচ্ছে এবং মানুষের উপরে নিপীড়ন দেখতে হচ্ছে বলেও অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম মন্তব্য করেন।