তাহেরপুর প্রতিনিধি:তাহিরপুর উপজেলাটি ২৪৯টি গ্রাম তথা ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। উপজেলার আয়তন প্রায় ৩৩৬.৭০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৮ জন। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই উপজেলার ঐতিহাসিকভাবেও সুনাম রয়েছে।
যাদুকাটার এপারে রয়েছে শ্রী শ্রী অদ্বৈতা মহাপ্রভূর আশ্রম, আর ওপারে রয়েছে পণতীর্থ ও মহান সাধক শাহ্ আরেফিন (র.) এর আস্তানা। আছে ঐতিহাসিক লাউড় রাজ্যের রাজধানী হলহলিয়ার ধ্বংসাবশেষ, নীল জলরাশির শহীদ সিরাজ লেক, বারেকটিলা, শিমুল বাগান ও দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়া হাওর। এ উপজেলায় রয়েছে ৩টি কয়লা স্থলবন্দর। প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের আগমনে এ উপজেলা কোলাহলমুখর থাকে।
পর্যটনের অপার সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পাহাড়ি নদী যাদুকাটার উপর নির্মাণাধীন সেতু হাতছানি দিচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্তের। গত বছরের ৮ এপ্রিল যাদুকাটা নদীর উপর প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭শ ৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, ইতোমধ্যে সেতুর ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় যাতায়াতকারীদের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। বর্ষায় নৌকা আর হেমন্তে মোটরসাইকেল ছাড়া যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। এক্ষেত্রে যাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতু এবং সড়ক নির্মাণ যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী মনে করেন, যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে সুনামগঞ্জ জেলার সাথে তাহিরপুর, মধ্যনগর, কলমাকান্দা ও নেত্রকোনা জেলার যোগাযোগের ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে। যাত্রীবাহী ও মালবাহী যান চলাচল শুরু হলে ভোগান্তি কমে যাবে পুরো জনপদের মানুষের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যাদুকাটা নদীর উপর নির্মিতব্য সেতুর ১৪টি পিলারের মধ্যে ইতোমধ্যে ৫টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে।
তাহিরপুর এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ এপ্রিল ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭শ ৫০ মিটার এই সেতু’র নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তমা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করছে।
তাহিরপুর উপজেলার প্রকৌশলী মো. সাইদুল্লাহ মিয়া বলেন, ইতোমধ্যে সেতুর ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কোনো প্রতিবন্ধকতা না হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেতুর কাজ সমাপ্ত হবে বলে আমরা আশাবাদী।