শেখ রিদওয়ান হোসাইনঃ
সদ্য টেস্ট ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া ক্রিকেটার সাউথ আফ্রিকার ডেল স্টেইন। ২২ গজের উইকেটে যতদিন খেলেছেন,রাজার বেশেই থেকেছেন। বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে তার নাম জ্বলজ্বল করবে। টেস্টে তার রেকর্ড অসংখ্য। টেস্টে সাউথ হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনিই। তার টেস্ট ক্যারিয়ার সম্পর্কে কিছু জানা যাক –
১৩ ডিসেম্বর ২০০৪ এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিলো তার টেস্ট যাত্রা। সাইথ আফ্রিকার হয় টেস্ট ক্যাপে ছিলেন ২৯৭ তম।
২০০৪-২০১৯,খেলেছেন ৯৩ টি টেস্ট ম্যাচ। বার বার ইঞ্জুরি বাধা হয়ে না দাড়ালে ম্যাচের সংখ্যা আর উইকেটের সংখ্যা আরোও অনেক বেশি থাকতো সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
৯৩ টেস্টে ২২.৯৫ গড়ে তুলেছেন রেকর্ড ৪৩৯ টি উইকেট।টেস্টে ৫ উইকেটের অর্থাৎ ফাইফারের স্বাদ পেয়েছেন ২৬ বার।টেস্টে তার টেনফারও আছে ৫ টি।
টেস্টে তার বেস্ট বোলিং ফিগার ৭/৫১।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টে নিজের প্রথম শিকার বানান মার্কুস ট্রেসকথিককে। স্টেইনের প্রথম দেখায় প্রথম বলই সুইয়িং ডেলিভারিটা সামাল দিতে পারেননি মার্কুস।
তবে সেই ইংল্যান্ড সিরিজের ৪র্থ টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য দল থেকে বাদ পড়েন। ৯ ওভার বোলিং করে ৮ টা নো বল যেখান থেকে ৪৭ টি রান হয়ে গিয়েছিলো। যার ফলপ্রসূত,ইংল্যান্ড ম্যাচটি ৭৭ রানে জিতে যায়।
পরবর্তীতে ডোমেস্টিক লীগে টাইটানের হয়ে দূর্দান্ত মৌসুম কাটিয়ে টেস্ট দলে ফের ডাক পান স্টেইন। সেটা ছিলো ২০০৬ এর এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে। সেই সিরিজকে কাজে লাগিয়েই সেঞ্চুরিয়নে সেদিন তুলে নেন নিজের প্রথম ফাইফার। মাখায় এন্টিনির সাথে বোলিং জুটি করে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন ১২০ রানেই ধ্বসিয়ে দেন তারা। ৩ ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজে স্টেইন ২৬ এভারেজে তুলেছিলেন ১৬ টি উইকেট।
তবে আবার পরবর্তী টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কা সফরে খেই হারিয়ে ফেলেন।২০০৬ এ জুলাই ও আগস্টের ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ তার প্রথম বিদেশ সফর ছিলো। সফরকারি প্লেয়ার হিসেবে প্রথম টেস্টে তার বোলিং ফিগার ছিলো ৩/১২৯। সেই ম্যাচেই শ্রীলঙ্কা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ গড়ে (মাহেলা ও সাঙ্গা ৬২৪ রান)। সেই ম্যাচে সাউথ আফ্রিকা ইনিংস ও ১৫৩ রানের পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পায়।
কিন্তু,সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দেখা পান নিজের দ্বিতীয় ফাইফারের,যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট শূণ্য থাকতে হয়।
এভাবেই স্টেইনের টেস্ট ক্যারিয়ার চলতে থাকে। তবে পরবর্তীতে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। তবে ইঞ্জুরি তাকে বার বার পিছনেই টেনেছিলো। স্টেইন ফিরে এসেছিলেন আরোও ভয়ংকর রুপে। ব্যাটসম্যানের ত্রাস সৃষ্টিকারী এ বোলার আইসিসির টপ বোলার হিসেবে ছিলেন দীর্ঘ ২৬৩ সাপ্তাহ। টেস্টে ২০০ উইকেটের বেশি পাওয়া বোলারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে কম।
ব্যাক্তিগত অর্জনে আছে,আইসিসির টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার ২০০৮।উইজডেন ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার,২০১৪।
উইজডেন লিডিং ক্রিকেটার, ২০১৩।