নিউজ ডেক্সঃ
যে জুতায় পা গলিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ আবদুল্লাহ ১৯৪৭ সালে ৩৭০ ধারা সংবিধানে অন্তভূক্ত করেছিলেন, অবশেষে সেই জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে বাতিল হল ৩৭০ ধারার অন্তর্গত ৩৫এ ধারাও।
সংবিধানের ১১ নম্বর অংশে কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থার কথা বলা রয়েছে। সেই ক্ষমতা বলেই তৈরি হয় ৩৭০ ধারা। ১৯৫৪ সালে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ধারাটি ৩৭০-এ ঢোকানো হয় সংবিধানে।
সোমাবার (৫ আগস্ট) রাজ্যসভায় প্রবল হইট্টগোলের মধ্যে ওই দুই ধারা রদের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু ওই দুই ধারার বলে কী সুবিধা পেতেন জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ?
৩৭০ ধারা–
১. ৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসনের অধিকার। এর ফলে দেশের অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যেসব নিয়ম লাগু হয় তা জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে খাটতে নাও পারে।
২. যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশ বিষয় ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে রাজ্যে নাক গলাতে পারতো না কেন্দ্র।
৩. প্রয়োজনে অন্যান্য রাজ্যে আর্থিক জরুরি অবস্থার ব্যবস্থা থাকলেও জম্মু ও কাশ্মীরে তা ছিল না।
জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণোয়ন করতে পারতো না কেন্দ্র।
৩৫এ ধারা-
১. ৩৭০ ধারার মধ্যেই ছিল ৩৫এ ধারা। ফলে বাতিল হয়েছে এই ধারাও। এই ধারা অনুযায়ী বাইরের রাজ্যের কোনও লোক জম্মু ও কাশ্মীরে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারতেন না।
২. রাজ্য সরকারই ঠিক করতো কে স্থায়ী বাসিন্দা আর কে নয়। সেই ঘোষণা করার একমাত্র অধিকার ছিল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার। কোনও সম্পত্তি কিনতে গেল রাজ্যে থাকতে হতো অন্তত ১০ বছর।
৩. কোনও মহিলা জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে তিনি বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতেন। তার উত্তরাধিকারীরাও সম্পত্তির অধিকার পেতেন না।
রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দারাই একমাত্র ভোট দিতে পারতেন, চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারতেন।