শেখ জাহিদ হাসান, সিলেট থেকে: ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাও আবার দলীয় প্রতীকের আওতাধীন থাকবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ইউনিয়ন পরিষদের তপশিল ঘোষনা করা হবে এবং মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। এজন্য প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন বালাই থাকবে না। তিনি বলেন যার ভোটাধিকার রয়েছে তিনি প্রাথী হতে কোন অসুবিধা নেই। কারণ বর্তমানে সংসদ সদস্যদের মধ্যে অনেকেই এ শিক্ষাগত যোগ্যতার আওতামুক্ত তাই ইউনিয়ন পরিষদে এমন নীতি নির্ধারণ করা অনুচিৎ হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন গত কয়েক দিন থেকে স্যোসাল মিডিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উচ্চ মাধ্যমিক এবং মেম্বার মাধ্যমিক পাশ বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং ভুয়া বলে তিনি আখ্যায়িত করেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কোন রোল জারি করা হয়নি। তাই দেশের সকল জনগণকে এসকল ভিত্তিহীন সংবাদে বিশ্বাস না করার জন্য তিনি আহবান জানান।
নির্বাচন কমিশন সুত্র থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ৫শত ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এ বছর আরো বেশি করে সময় হাতে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যাতে অবাদ এবং সুষ্ঠো নির্বাচন উপহার দেয়া যায়। যাতে প্রত্যেক নাগরিক তাদের নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে পারেন।
স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯-এর ২৯ (৩) এর ধারায় বলা হয়েছে পরিষদ গঠনের জন্য কোন সাধারণ নির্বাচন ঐ পরিষদের জন্য পুর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হতে পাচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন অর্থাৎ ৬ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরের ২১ মার্চের মধ্যে শুরু করতে হবে। এছাড়া করোনা ভাইরাসের সময় বহিস্কৃত, পদত্যাগ, মৃত্যু এবং মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া প্রায় ২ শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হবে। যেহেতু দেশে এখনো করোনার প্রভাব রয়েছে তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সকলকে আহবান জানিয়েছেন। এ জন্য প্রশাসন সব সময়ই মাঠে থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান ২০১৬ সালে কয়েক ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঠিক একই ভাবে আগামীতে ভোট গ্রহণ করা হবে। ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪ হাজার ১০০ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাকি ২শ ইউনিয়নের মামলা থাকার কারনে নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
বর্তমানে নির্বাচনের প্রায় ৭ মাস বাকি রয়েছে, ইতোমধ্যে অনেকে ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহনের জন্য কোমরে আটগাট বেধে মাঠে নামতে দেখা গেছে। ফেইসবুক এবং টুইটারে রিতিমত তাদের আগাম নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে পোষ্টার ফেস্টুন ছাপিয়ে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে ব্যস্থ রয়েছেন। বিভিন্ন হাটবাজার ও পাড়া মহল্লায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদে সাথে মত বিনিময় করে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে সভা সমাবেশ থেকে আলাদা থাকলেও প্রচারনার দিক থেকে কেউ পিছিয়ে নেই।