ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান দ্বিতীয় বর্ষের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন রিফাত (২২) সহ আরও তিন জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রিফাতসহ অপর দুইজন হলেন তার বন্ধু তারেক রহমান নিলয়(২২) এবং নিলয়ের ছোট ভাই তানজিলুর রহমান (২০)।
তারেক রহমান নিলয় (২২) চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশীপে রয়েছেন। অপরজন তার ছোট ভাই তানজিলুর রহমান (১৯) বান্দরবান সরকারি কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় চট্টগ্রামের চকোরিয়ায় কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিছুর রহমান এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
আনিছুর রহমান বলেন, দুপুরে জিদ্দা বাজার এলাকায় কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে আরোহী তিন জনেরই মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, নিহত রিফাত হারবাং ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মোহাম্মদ বশিরের ছেলে। আর তারেক একই ইউনিয়নের বাজারপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের পুত্র। এই ঘটনায় তানজিলুর রহমান (১৯) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা কাভার্ডভ্যানটি আটক করেছি। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছ।
আমজাদ হোসেন রিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। মৃত্যুবরণ করা তিন জনের বাড়িই কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে বলে নিশ্চিত করেন আমজাদ হোসেন রিফাত’র এক সহপাঠীও।
পরবর্তীতে আমজাদ হোসেন রিফাতের মামা সাজ্জাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রিফাত তার বন্ধু তারেক রহমান নিলয় (২২) ও তার ছোট ভাই তানজিলুর রহমানকে (১৯) নিয়ে মোটর সাইকেল করে এক জায়গায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলো। সেখান থেকে ফেরত আসার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের জিদ্দা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ওভারটেকিংয়ের সময় কাভার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনাস্থলে আমজাদ হোসেন রিফাত ও তারেক রহমান নিলয় মারা যান। আর তানজিলুর রহমানকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।