সারী ১ ও ২ এবং বড়গাং নদী ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের অত্যাচারে তা ভোগ করতে পারছেন না বৈধ ইজারাদার এস.এ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. শাহিন আহমদ।
সোমবার (২৪ আগস্ট) বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ রকম অভিযোগ করেন তিনি। পরিবহন শ্রমিকদের দাপট আর কুট-কৌশলের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রশাসনেরও কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না ইজারাদার।
লিখিত বক্তব্যে ইজারাদার শাহিন আহমদ উল্লেখ করেন, সিলেট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন তাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করলে তিনি সারী ১ ও ২ এবং বড়গাং নদী প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পান। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৭ জুন কোয়ারি দুটির দখল তাকে সমজিয়ে দেন। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারুক আহমদ তাকে দখল দেন এবং সারী বালু কোয়ারির উৎসমুখ সরুফৌদ গ্রামের সিলেট-তামাবিল সড়ক থেকে রয়্যালিটি আদায় করার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়।
উল্লেখিত মহালগুলো সৃষ্টিলগ্ন থেকে হাজার হাজার বারকী শ্রমিক, তাদের বারকী নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করে এক ধরনের মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে থাকেন। কারণ ইজারাদারদের বালু ডাম্পিংয়ের নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় এবং শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা থাকায় মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের কাছ থেকে বালু সংগ্রহ করে ট্রাক গাড়ীতে বিক্রি করে থাকেন। সারী ১, ২ ও বড়গাং বালু কোয়ারি বিচ্ছিন্নভাবে এলাকা জুড়ে রয়েছে। তাই সারী বালু কোয়ারির উৎসমুখ সরুফৌদ মৌজা থেকে রয়্যালিটি আদায়ের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়। তারা যখন রয়্যালিটি আদায় করতে শুরু করেন তখন পরিবহন শ্রমিকরা জোরপূর্বক বালু নিয়ে যেতে চায়। এবং তারা সিলেট-তামাবিল সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ৭ ঘন্টা রাস্তা বন্ধ রাখেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় তারা ব্যারিকেড তুলে নেয়। শুধু তাই নয় পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট আহ্বান করে ইজারাদারদের চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দেয়। অথচ তারা বিভিন্ন স্থানে আন্তঃজেলা ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকরা জোর পূর্বক তাদের বালু নিয়ে যাচ্ছে। রোববার তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করার পর প্রায় সহস্রাধিক ট্রাক লাগিয়ে বালু লুঠপাট করে নেয়। ইজারাদারের পক্ষ থেকে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানালে পুলিশ দায়সারা জবাব দেয়। এ অবস্থায় বৈধ ইজারাদার শাহিন আহমদ রয়্যালিটি আদায়ের জন্য প্রশাসনের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করেন