নিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের কোনোটিরই তোয়াক্কা করছে না আদমদীঘির সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত গণপরিবহনগুলো। তাদের নজর কেবল অতিরিক্ত ৬০% ভাড়া আদায়ের দিকে।সরেজমিনে থানার আদমদীঘি, সান্তাহার ও মুরইল টার্মিনালে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
বুধবার (১২আগস্ট) ওই টার্মিনালগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তিন জন নিয়ে চলার কথা থাকলেও পাশাপাশি সিটে বসিয়ে পাঁচজন পরিবহন করা হচ্ছে। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায়ও ফুল যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
জীবাণুনাশক স্প্রে দেওয়াসহ এবং আনুষঙ্গিক কোনো নিয়মই মানছে না পরিবহনগুলো।অনেক সময় যত্রীদের চাপে একজন কম নিয়ে গেলেও রাস্তায় যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
এসব নিয়ে পরিবহন চালক ও যাত্রীদের মধ্যে পাল্টপাল্টি অভিযোগেরও শেষ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বুয়েট শিক্ষার্থী বলেন,স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব কোনটাই মানা হচ্ছে না। তারপরও নেওয়া হচ্ছে ৬০% বর্ধিত ভাড়া।
মুজাহিদ নামের মুরইলের একজন যাত্রী বলেন, আমার বাসা মুরইল। মুরাইল থেকে সান্তাহার পুরনো ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু যাওয়ার সময় সিএনজিতে নেওয়া হলো পাঁচজন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ভাড়া কত ড্রাইভার বলল ৩০টাকা বললাম ভাড়া ৩০ টাকা করছেন তাহলে যাত্রী তিনজন নেওয়ার কথা যাত্রী সংখ্যা পাঁচজন কেন। উত্তরে তিনি যা বললেন তা হুমকি ছাড়া আর কিছুই নয়। বললেন যাওয়ার ইচ্ছে হলে যান নাহলে দাঁড়ায় থাকেন ৩০ টাকার কমে ভাড়া হবে না। আমি আর কি করবো অনেকটা চাপের মুখে পড়েই লোক বোঝায় সিএনজিতে চেপে কোন রূপ স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে রওনা দিলাম সান্তাহার এর উদ্দেশ্যে। জিম্মি করেই হাতিয়ে নিচ্ছেন মাত্রা অতিরিক্ত টাকা।
“পরিবহনগুলো সরকার নির্দেশিত বর্ধিত ভাড়ার বিষয়টি মানলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।”
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলেন,সামাজিক দূরত্ব মেনেই যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। আমরা কাউকে যাওয়ার জন্য বাধ্য করছি না। ইচ্ছে না হলে কেউ যাবে না।