সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, শিমুল বাগান, শহীদ সিরাজ লেক, বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দেশ-বিদেশে পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিত। করোনা মহারারির কারণে গেল কয়েকমাস উপজেলার নয়নাভিরাম এই এলাকাগুলোতে পর্যটকদের ঘোরাঘুরিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল প্রশাসন। এ সময়টিতে পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকশূন্য ছিল।
করোনার সংক্রমণ রোধে পবিত্র ঈদুল আজহায়ও রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওরসহ আশপাশের এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখে প্রশাসন।
কিন্তু প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে গত শনিবার থেকে তাহিরপুরে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। জীবন রক্ষাকারী লাইফ জ্যাকেট পরিধান না করেই পানিতে নামছেন তারা। পর্যটকদের ঢল নামায় বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা না তুললেও পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
তাহিরপুরের বাসিন্দা করিম বলেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথমদিকে যেভাবে প্রশাসন কঠোর ছিল সেভাবে যদি আবার কঠোর হয় তাহলে আমাদের তাহিরপুরে পর্যটকের আনাগোনা কমে যাবে। পর্যটক আসাতে আমরা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। কারণ কার মধ্যে করোনা আছে সেটা তো বোঝা মুশকিল। আর এখানে আসার পর দেখছি কেউ মাস্ক বা সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করছেন না। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।’
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে তাহিরপুর উপজেলায় পর্যটক আসা বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। তাছাড়া নৌকায় উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার বাজিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের ঘোরাফেরা করার কারণে শব্দ দূষণ হচ্ছে। এমতাবস্থায় পর্যটকের আগমনের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ পালন করা এবং উচ্চস্বরে গান না বাজানোর জন্য বলা হয়েছে। যারা এই বিধিনিষেধ মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।