কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ আজ বুধবার (৩১ জুলাই) পৌর শহরের পালকী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিলে উপজেলা ও ইউনিয়নের মোট ৩৮ জন কাউন্সিলর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে নেতা নির্বাচিত করেন।
কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে কুলাউড়া পৌর প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদিন বাচ্চু সভাপতি ও কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা সুফিয়ান আহমদ (আবু সুফিয়ান প্রিন্স) ও আব্দুস সালাম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও মৌলভীবাজারের সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে পৌর প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদিন বাচ্চু ২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ পেয়েছেন ১৩ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল পেয়েছেন ২০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান খান পেয়েছেন ১৮ ভোট।
সাংগঠনিক দুই পদের জন্য লড়াই করেন ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বি। এঁদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা আবু সুফিয়ান প্রিন্স সর্বোচ্চ ২৬ ভোট পেয়ে প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৮ ভোট পেয়ে আব্দুস সালাম দ্বিতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হোন। এছাড়া তাঁদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্বাছ আলী পেয়েছেন ১৫ ভোট এবং দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৬ ভোট। এদিকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেও ১টি ভোট পেয়েছেন বদরুল হোসেন খান।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, আব্দুল মুকিত, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, যুগ্ম সম্পাদক হেলু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বকশী মিসবাহুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএম মোক্তাদির রাজু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম. ফয়েজ উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা প্রবাসী জিয়া উদ্দিন জিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেন,‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে বিজয়ী ও বিজিত সবাই একসাথে কাজ করতে হবে। তাই বিজয়ীরা বিজোয়ল্লাসে মাতোয়ারা না হয়ে বিজিতদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামীর আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে হবে।’
কাউন্সিল শেষে উপস্থিত সবার সামনে ভোট গণনা করেন জেলা নেতৃবৃন্দ। পরে জেলা বিএনপির সভাপতি ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এম নাসের রহমান নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন।