নিউজ ডেস্ক : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-আজাহা আর এই ঈদে মুসলমানদের ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে খুশি করানোর জন্য পশু জবাই করে থাকে।
আর এই পশু জবাই করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। আর এ সকল সরঞ্জামাদি তৈরি করতে ব্যস্ত সমায় পার করছে সিরাজগঞ্জের বাহিরগোলা রোডের কামার পট্টির কামার শিল্পের কারিগররা।
তারা ভোর থেকে গভীর রাত পযন্ত কঠোর পরিশ্রম করে তৈরি করছে পশু জবাই করার বিভিন্ন ধরনের, দা,বাটি,ছুরি,চাকু,চাপাতি, ইত্যাদি,সরঞ্জাম।
দগদগে আগুনে লোহা পুরিয়ে তারা এসকল সরঞ্জাম তৈরি করছে।
আর এ সকল সরঞ্জামাদি বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন দামে
দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশি চাপাতির দাম ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা জানান, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কুরবানির ঈদের আগে ১০-১২ দিন ভালো বেচাকেনা হয়। ওই সময় দামও ভালো পাওয়া যায়। লোহার তৈরি ছোট ছুরি ৬০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জবাই ছুরি মিলছে ৫০০-৬০০ টাকায়।
সিরাজগঞ্জে বাহিরগোলা রেডের, সুকুমার কর্মকার বলেন,গত বছরের তুলনায় এ বছরে বেচাকেনা ভালো হবে,যেহেতু ঈদের আরো বেশ কয়েকদিন বাকি।তিনি আরে জানান এ পেশায় অধিক শ্রম জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও বাপ দাদার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এখনও এ পেশাটি ধরে আছি।
বাহিরগোলার কামার পট্টর কামাররা জানায়,গত বারের তুলনায় এবার কাজের চাপ বেশি থাকলেও সরঞ্জাম তৈরির জন্য ব্যবহিত কয়লার দাম গতবারের তুলনায় অনেক বেশি।গত বার প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিলো ৭০০ থকে ৮০০ টাকা এবার তা কিন্তে হচ্ছে ১৪০০ থকে ১৫০০টাকা।তাই লাভের পরিমাণ গতবারের তুলনায় এবার অনেকটায় কম।